মহসীন হাবিব
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৪ এএম
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার

বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার

শিখ ধর্মের গুরু গ্রন্থ সাহিবের পরতে পরতে শান্তির কথা বলা আছে। বলা আছে, ‘একমাত্র ঈশ্বরের কৃপায়ই পরিত্রাণ এনে দিতে পারে। তাই আমাদের সমস্ত অহংবোধ ত্যাগ করা উচিত এবং তারই কৃপা প্রার্থনা করা উচিত।’ পাঞ্জাবের অমৃৎসরের স্বর্ণমন্দির গুরুদুয়ারা যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই গুরু অর্জুন বলেছিলেন, ‘কারও সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করো না, কারণ ঈশ্বর সকলের সঙ্গে রয়েছেন।’ কে শোনে কার কথা! অন্য কয়েকটি বড় ধর্মের হিতোপদেশের অপব্যবহারের মতোই শিখ ধর্মের বাণীগুলোও যেন মানুষের কানে না পৌঁছে বরং জলে গিয়ে পড়ছে। মনে পড়ে জার্নাল সিং ভিন্দ্রানেওয়ালের কথা। তিনি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা থেকে সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়েছিলেন। কারণ তার ধর্মবিশ্বাসটি ছিল অতি রক্ষণশীল মতাদর্শ দ্বারা তাড়িত। ১৯৭৮ সালে শিখদের একটি আধ্যাত্মিক সেক্ট শান্ত নিরানকারী মিশন একটি ধর্মীয় সমাবেশ করতে গেলে রক্ষণশীল বা গোড়া আকান্দ কিরতানি এবং দামদামি তাকসাল নামের দল দুটি দল বাধা দেয়। জার্নাল সিং ভিন্দ্রানেওয়াল ছিলেন দামদামি তাকসাল নেতা। প্রায় এক লাখ শান্তিপ্রিয় নিরানকারী সমাবেশে যোগদান করলে স্বর্ণমন্দির থেকে ধর্মীয় বয়ান দিয়ে এ সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। ফলে সহিংসতা শুরু হয় এবং সেই সহিংসতায় দুপক্ষের ১৬ জন প্রাণ হারায়। এ ভিন্দ্রানেওয়ালের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল। আকালি দলকে দুর্বল করতে ইন্দিরা সরকার দামদামি দলকে প্রশ্রয় দিত। কিন্তু ভিন্দ্রানেওয়াল দিনে দিনে অধিক রক্ষণশীল ও বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সশস্ত্র হয়ে ওঠেন। কিন্তু তিনি সরাসরি খালিস্তান মুভমেন্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ১৯৮৪ সালে শিখ মন্দিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন ব্লু স্টার পরিচালনা, ভিন্দ্রানেওয়ালের মৃত্যু এবং কয়েক মাস পরেই শিখ দেহরক্ষীর হাতে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু খালিস্তান আন্দোলনকে অধিক শক্তিশালী করে তোলে।

এ খালিস্তান মুভমেন্ট পূর্ব থেকেই শক্ত জায়গা করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, কানাডার অটোয়া এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। দেবিন্দর সিং পারমার, জগজিৎ সিং চৌহানের মতো খালিস্তান আন্দোলনের নেতারা লন্ডনে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন ৫০-৬০-এর দশকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রতি প্রতিশোধ হিসেবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও কয়েকটি অঞ্চল নিয়ে খালিস্তান স্বাধীন করার স্বপ্নে মেতে ওঠে পাকিস্তানের জুলফিকার আলি ভুট্টো এবং আইএসআই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জগজিৎ সিং চৌহান জুলফিকার আলি ভুট্টোর আমন্ত্রণে পাকিস্তান সফরে যান। সেখানে জুলফিকার আলি ভুট্টোর প্ররোচনায় তিনি খালিস্তান রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেন। ভুট্টো তাকে প্রতিশ্রুতি দেন খালিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হলে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের নানকান সাহিব হবে খালিস্তানের রাজধানী! ওদিকে ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসেই নিউইয়র্কের প্রবাসী পাঞ্জাবিদের আমন্ত্রণে চোহান নিউইয়র্ক সফরে যান। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় স্বাধীন খালিস্তান টাইমসের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় এবং লাখ লাখ ডলার সেখান থেকে চাঁদা ওঠে। আর শুরু থেকেই কানাডায় খালিস্তানিরা তাদের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলে।

ভারতের সংহতি ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সেই সময় পশ্চিমাদের এ ধরনের প্রশ্রয়ের একটি কারণ ছিল সম্ভবত কমিউনিস্ট রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক। এখন আবার ভারতের সঙ্গে যে টালবাহানা শুরু হয়েছে, তাও কি নব্য ‘পুতিনীয় কমিউনিজম’ এর সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই? আমাদের তো তাই মনে হয়। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা আর ব্রিটেনের মনোভাব একইরকম হবে কেন? ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ‘গুরুদুয়ারা কমিটি ফর দ্য কমিউনিটি’র আমন্ত্রণে আলোচনা করতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর গুরুদুয়ারায় যান হাইকমিশনের একটি কালো গাড়িতে চড়ে। তার সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল। গুরুদুয়ারার বাইরেই কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাকে সেখানে নামতে বাধা দেয়। ফলে কোনোরকম ঝামেলায় না জড়ানোর জন্য দোরাইস্বামী ভদ্রলোকের মতো গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসেন। আমরা দোরাইস্বামীকে চিনি। অত্যন্ত মার্জিত ইতিহাসের ছাত্র দোরাইস্বামী ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি সব সম্প্রদায়, সব রাজনৈতিক মতবাদ ও সংগঠনের সঙ্গে সমানভাবে, আন্তরিকতার সঙ্গে মিশতে অভ্যস্ত একজন মানুষ। নায়কোচিত চেহারার এ হাইকমিশনার স্বভাবেও নায়কের মতোই। আমার কয়েক দফা দেখা হয়েছে তার সঙ্গে। আমি তাকে অন্তত দুই দফা মজা করে বলেছি, ‘মাননীয় হাইকমিশনার, আমিও কিন্তু ইতিহাসের ছাত্র, তবে আপনি ভালো ছাত্র আর আমি খারাপ।’ তিনি ভীষণ মজা পেয়েছেন, আমার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবি তুলেছেন। তিনি ঢাকায় থাকতে যে সংগঠনই তাকে ডাকত, তিনি স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিতেন।

এটি এখন পরিষ্কার যে, কানাডায় নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই সুতোতেই বাঁধা রয়েছে গ্লাসগোর ঘটনাটি। একজন হাইকমিশনার একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক স্টেট মিনিস্টার এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘একজন বিদেশি কূটনীতিকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রশ্ন হলো, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা কি জানত না যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? অবশ্যই জানত বলেই আমরা ধারণা করি। স্কটল্যান্ডের পুলিশ এটাকে ‘ডিস্টারবেন্স’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, ‘আমরা একটি ফোন পেয়েছি। এ ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ শুনছেন কথা! এ ঘটনার যে একটি বড় ইমপ্যাক্ট রয়েছে, সেটা একবারের জন্যও ভাবেনি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ! এ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার প্রতিক্রিয়ায় একটি দারুণ কথা বলেছেন, যা আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য। তিনি বলেছেন, ‘বাকস্বাধীনতার নামে যদি উসকানি, সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তাহলে বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়।’ ভারতের কংগ্রেস দলের নেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক শশি থারুর বলেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক। যারা রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ওইসব দেশের নাগরিক হচ্ছেন, তারা ওই দেশের রাজনীতিতে মনোযোগ না দিয়ে পেছনে ফেলে আসা দেশের রাজনীতি নিয়ে মেতে আছেন।’ (বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রাজনীতির এখানেই পার্থক্য। শশি থারুর বিজেপি বিরোধী নেতা। কিন্তু জাতির প্রশ্নে তার অবস্থান পরিষ্কার। আর বাংলাদেশে একদল সরকারবিরোধীর এমন মনোভাব যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বোমা ফেললেই তারা খুশি!)

যেসব উন্নত দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়, তার মূল উদ্দেশ্য হলো, যেসব দেশে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ সেসব দেশের কেউ যেন রাজনৈতিক হয়রানি, জীবনের ঝুঁকি এড়াতে পারে। ভালো কথা। কিন্তু ওই আশ্রয়গ্রহণকারীরা যদি ‘মানবাধিকার সংরক্ষিত’ দেশে বসে প্রকাশ্যে নিজ দেশে হত্যা, সহিংসতা উসকে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই? আইনের আওতায় আনা হবে না! আমি পত্রিকান্তরে আগেও এ কথা বলেছি। আবার ফিরে আসি নিজ শরীরের ক্ষতের দিকে। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকারীদের বিষয়ে তথাকথিত মানবাধিকার সংরক্ষিত দেশগুলোর ভূমিকা লক্ষ করলেই পরিষ্কার হবে অনেক কিছু। সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা কেউ কিন্তু অস্বীকার করেনি বিদেশের কোনো আদালতে যে, আমি এ খুনের সঙ্গে ছিলাম না। তাদের বাংলাদেশে অপরাধ সংঘটনের কারণে কোনো আদালতে দাঁড়াতে হয়নি। খাইয়ে পড়িয়ে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা রাশেদ চৌধুরী এতকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২২ সালেও তাকে ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, অনুরোধ করেছেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির মার্কিন সিনেটরদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কিছুই হয়নি এবং এ নিয়ে কিছু হবেও না সেটা পরিষ্কার। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের আইন আছে। আরেক হত্যাকারী নূর চৌধুরী কানাডায় আশ্রয় নিয়ে আছে ১৯৯৬ সাল থেকে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছেন, অনুরোধ করেছেন। অগ্রগতি একটাই হয়েছে যে, কানাডার ফেডারেল আদালত নূর চৌধুরীর অভিবাসনসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের রায় দিয়েছে! চার বছর হয়ে গেছে, আর কোনো অগ্রগতি নেই। হবেও না বোঝা যায়। লন্ডনের কথা আর কত বলব? শুধু রক্তমাখা হাত নিয়ে বসে নেই, বাংলাদেশে বারবার রক্ত ঝরানোর উসকানিও আসছে সেখান থেকে প্রকাশ্যে। এমনকি বাংলাদেশের একজন সাবেক বিচারপতি লন্ডনে বেড়াতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে বিশেষ ব্যক্তির নির্দেশে। কিন্তু লন্ডন যেন জেগেও ঘুমিয়ে আছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার ছবি, ভিডিও ফুটেজ সে দেশের পুলিশ নিয়ে গেছে। ওই পর্যন্তই। অর্থাৎ, খুনি, সহিংসতায় উসকানিদাতাদের কোলে বসিয়ে তারপর আমাদের দিকে তাকিয়ে বাকস্বাধীনতা, মানবতা এসব বলে চিৎকার করাকে কী বলে আমরা আখ্যায়িত করতে পারি! উল্টো আমরাই এক ধরনের চাপে থাকি। কিন্তু ভারত তো আর আমাদের মতো ক্ষুদ্র রাষ্ট্র নয়, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ছেড়ে কথা বলার মানুষ নন। তাই তার মন্তব্য শুনে মনে হয়েছে, এ যেন আমাদেরই কথা।

লেখক : সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা

বাজারভিত্তিক সুদহারে হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : এফবিসিসিআই

কয়রায় সিপিজি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

চায়না বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিকেএসপির সমঝোতা চুক্তি

ঢাকায় অতিরিক্ত গরমে আনসার সদস্যের মৃত্যু

হজযাত্রীবাহী বিমান উড়তেই ইঞ্জিনে আগুন, জরুরি অবতরণ

ঢাকায় নিয়োগ দেবে প্রাণ গ্রুপ, আবেদন করুন দ্রুত

তীব্র গরমে পথচারীর মৃত্যু

‘৩০ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দখলে শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়’

১০

রাতের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১১

যুবলীগ নেতাকে ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম

১২

সতর্ক করল বিমান মন্ত্রণালয়

১৩

ভাসানীর আদর্শে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে : জাগপা

১৪

ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নেবে ল্যাবএইড, ৪৫ বছরেও আবেদন

১৫

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে : ইসি হাবিব

১৬

হবিগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

১৭

২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

১৮

‘কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ পশু বেশি আছে’

১৯

যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পাঠান হলো হাসপাতালে

২০
X