কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পশ্চিমাদের আতঙ্ক এস-৪০০ কতটা শক্তিশালী?

রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্ব পরাশক্তিগুলো সমরাস্ত্রে কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ট্রিয়াম্ফ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম রুশ এস-৪০০। মার্কিন সামরিক জোট এর নাম দিয়েছে এসএ–২১ গ্রাউলার।

এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ক্রয়ের কারণে ন্যাটো সদস্য তুরস্কের ওপর সামরিক সরজ্ঞাম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। আজ জানব এস-৪০০ এর গঠন ও এটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে।

এস-৪০০ মূলত ৭০-এর দশকে নির্মিত ‘এস–৩০০’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ। এর নকশা তৈরি রুশ সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিও আলমাজ সেন্ট্রাল জিডাইন ব্যুরো অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, আর নির্মাণ করে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা করপোরেশন ‘এমকেবি ফাকেল’।

প্রকল্পটির প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন ডক্টর আলেক্সান্দর লেমানস্কি। ২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সশস্ত্রবাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এস-৪০০ এর এক ব্যাটারি মানে পুরো দুটি ব্যাটিলিয়ন। অর্থাৎ এক ব্যাটারি এস-৪০০ কিনলে পুরো দুইটি ব্যাটিলিয়ন কিনতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিটি এস-৪০০ ব্যাটারির রপ্তানি মূল্য হতে পারে ১ থেকে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

বলা হয়ে থাকে এস-৪০০ একসঙ্গে ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজরদারি চালাতে সক্ষম। এর স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি এক সঙ্গে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে, যা ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

এস-৪০০ এ রয়েছে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ভেহিকল, লং রেঞ্জ সার্ভেলেন্স রাডার, এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার ও অল এলটিটিউড একুইজেশন রাডার ও মোবাইল মাস্ট রাডার।

এর মধ্যে এনগেজমেন্ট রাডার ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করে তার তথ্য কমান্ড পোস্টে পাঠায়। সেখান থেকে লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট করার পর এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ফায়ার কন্ট্রোল রাডার ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যস্তুতে আঘাতে সহযোগিতা করে।

পশ্চিমাদের সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে স্টেল্থ প্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান বা ড্রোনও সহজেই শনাক্ত করা যায়।

এমনকি খুব নিচ দেয় উড়ে আসা কোনো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণেও এস-৪০০ যথেষ্ট কার্যকর এর পাশাপাশি এস-৪০০ শত্রুপক্ষের রাডার জ্যাম করতে পারে। সাধারণত একটি এস-৪০০ ব্যাটালিয়নে ৮টি লঞ্চার, ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১টি কমান্ড পোস্ট থাকে। এতে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা যথাক্রমে ৪০ কিলোমিটার, ১২০ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার ও ৪০০ কিলোমিটার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

১০

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১১

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১২

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১৩

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৪

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৫

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৬

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৭

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৮

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৯

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

২০
X