চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মিতু হত্যা মামলা

সাক্ষ্য দিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

মাহমুদা আক্তার মিতু। ছবি : কালবেলা
মাহমুদা আক্তার মিতু। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন শুনানিতে এসে অসুস্থ বোধ করেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। এ ছাড়া দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির না হওয়ায় ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণও হয়নি। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, বুধবার শুনানির সময় বাবুল আক্তার সুস্থ শরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুর রশীদ বলেন, বুধবার একজন সাক্ষীর জেরাও শেষ হয়েছে। আগামী ১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এ মামলায় সাক্ষী রয়েছে ৯৭ জন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।

এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায়। আর এজন্য খুনিদের লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন বাবুল। পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনসিটিবির নামে ‘নকল’ ছাপাখানা, আটক ৫ 

পচা চাল ক্রয়, বাচ্চু মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর

শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দি

পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল

গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা তারেক রহমানের অঙ্গীকার : সাঈদ

চাকসু নির্বাচনের প্রচারে এগিয়ে ছাত্রদলের প্যানেল

জনপ্রশাসনের এপিডি এরফানুল হককে বদলি

কর্ণফুলীর তীরে নতুন আশা

চাকসু নির্বাচনে আরও তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

সিলেট বিমানবন্দরে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু, থানায় মামলা

১০

বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১১

আগে টাইফয়েড টিকা গ্রহণকারীরা কি আবার নিতে পারবে?

১২

বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামছেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৩

পরাজয়ে কার্যত শেষ বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ আশা

১৪

ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার ৮ বছরে কারাদণ্ড

১৫

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র পাল্লা থেকে ‘সব সীমা’ তুলে নিলেন খামেনি!

১৬

ইমো হ্যাকিং চক্রের ১২ সদস্য আটক

১৭

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি নেতা মোস্তফা জামানের উঠান বৈঠক

১৮

শতাধিক সনাতনী যোগ দিলেন বিএনপিতে

১৯

উপদেষ্টা পরিষদে ১১ অধ্যাদেশ ও ৩ প্রস্তাব অনুমোদন

২০
X