ড. মিহির কান্তি মজুমদার
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ এএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডেঙ্গুর বেশিমাত্রায় প্রাদুর্ভাব এবং প্লাটিলেট আতঙ্ক

ডেঙ্গুর বেশিমাত্রায় প্রাদুর্ভাব এবং প্লাটিলেট আতঙ্ক

চলতি বছর ডেঙ্গু এ দেশে সবচেয়ে বেশিমাত্রায় সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। বলতে হয় তাণ্ডব চালাচ্ছে। তা আবার দুর্বারগতিতে। ডেঙ্গু একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের মশাবাহিত রোগ। এডিস ইজিন্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশা ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। এডিস প্রজাতির মশা যদিও ২৬টি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর জন্য এ দুটো প্রজাতি কাজ করে। পৃথিবীর প্রায় ১০০টি দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু সংক্রমণজনিত রোগ আছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ সংক্রমণের ঘটনা এশিয়া মহাদেশে। ডেঙ্গু সংক্রমণের দেশের সংখ্যা বাড়ে ছাড়া কমে না। বাংলাদেশেও ২০০০ সালের পূর্বে দৃশ্যমানভাবে এ রোগ ছিল না। এডিস মশা বংশবৃদ্ধির উৎকৃষ্ট স্থান আছে বলেই কোনো মাধ্যমে সংক্রমিত এডিস মশা ২০০০ সালে এ দেশে অনেকটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেই ঘাঁটি গাড়ে। ওই বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫১ জন হলেও মৃত্যু ছিল ৯৩ জনের। নতুন রোগ হিসেবে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার প্রচুর ঘাটতি থাকায় আক্রান্তের হারের তুলনায় মৃত্যুহার ছিল বেশি।

পরবর্তী ১৮ বছরে প্রতিবছর জুন-সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা-পরবর্তী মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটেছে। সংক্রমণে কোনো বিরতি ছিল না। যদিও ২০০৭, ’০৮, ’০৯, ’১০ ও ’১৪ সালে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ছিল না। তবে এ ১৮ বছরে ডেঙ্গু সংক্রমণ ১০ হাজারের মধ্যে সীমিত ছিল। সচেতনতা, ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় অগ্রগতি থাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে অন্য যে ফ্যাক্টর কাজ করেছে তা হচ্ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ দুটি সেরোটাইপে সীমাবদ্ধ থাকা।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ আছে। এগুলো ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪ নামে নামকরণ করা হয়েছে। শুরুর বছর অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ডেন-১ ও ডেন-২-এর সংক্রমণ থাকায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে এ দুটি সেরোটাইপের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছিল। বিপত্তি ঘটায় ২০১৬ সালে ডেন-৩-এর সংক্রমণ শুরুর মাধ্যমে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অন্য দুটি সেরোটাইপের সঙ্গে ডেন-৩ তেমন বিপত্তি না ঘটালেও ২০১৯ সালে তীব্র মাত্রায় সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণ ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৫ জনে উন্নীত করে। মৃত্যুও হয় সর্বাধিক, ১৭৯ জন। বর্ষা-পরবর্তী শুরু চার মাস নয়, এ সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণের সময়ও বৃদ্ধি পায়। প্রায় বছরব্যাপী সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।

তবে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু সংক্রমণ ও ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর ঘটনা যে গতিতে বেড়েছে; তা অতীতের কোনো পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না। এখন নভেম্বর মাস। এখনো প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ, যা গত ২২ বছরের মোট মৃত্যুর কয়েকগুণ বেশি। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই ডেঙ্গু সংক্রমণের তীব্রতা ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্ষার মৌসুম শেষ। কিন্তু ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যে আতঙ্কের খবর হচ্ছে—ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩-এর পাশাপাশি এ বছর সেরোটাইপ ডেন-৪-এর সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বিদ্যমান তিনটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল, তারা যদি ডেন-৪-এ আক্রান্ত হয়, তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফেবার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের শিকার হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি করবে। এ আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু সম্পর্কিত প্লাটিলেট আতঙ্ক চালু হয়েছে। ডেঙ্গু হলেই ঘন ঘন সিবিসি বা টোটাল ব্লাড কাউন্ট করা হয় প্লাটিলেটের মাত্রা দেখার জন্য। প্লাটিলেট কমলেই আতঙ্কিত হয়ে কোনো লাভ নেই। প্লাটিলেট হচ্ছে রক্তে বিদ্যমান লোহিত কণিকা ও অন্যান্য কণার মতো একটি ক্ষুদ্র কণা। প্লাটিলেটের কাজ হচ্ছে রক্ত জমাট বাঁধা। শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা রক্তনালি আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা কোথাও কোনো কারণে ক্ষত সৃষ্টি হলে প্লাটিলেটকে সেখানে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য মস্তিষ্ক সংকেত পাঠায়। প্লাটিলেট সেখানে দ্রুত পৌঁছে একটির সঙ্গে আরেকটি মিশে পাতলা আবরণ তৈরি করে রক্তপাত বন্ধ করে। যদি ক্ষতের পরিমাণ বেশি হয় তখন সেখানের প্লাটিলেট শরীরের অন্য স্থানের প্লাটিলেটকে রাসায়নিক সংকেত পাঠায় দ্রুত সেখানে এসে রক্তপাত বন্ধের কাজে শামিল হতে। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ হলে অস্থিমজ্জা প্লাটিলেট উৎপাদন কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে। প্লাটিলেটের আয়ু মাত্র ৮ থেকে ১০ দিন। কাজেই, প্লাটিলেট উৎপাদন বন্ধ বা কম হলে আয়ু শেষ হওয়া প্লাটিলেট মারা যেতে থাকে। এ ঘাটতি পূরণ হয় না বিধায় ডেঙ্গু হলেই প্লাটিলেট কমা শুরু করে।

মানুষের শরীরে প্রতি মাইক্রোলিটারে ১.৫ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ প্লাটিলেট থাকে। ডেঙ্গু সংক্রমণে যেমন প্লাটিলেট কমে, অন্যান্য কারণেও তা কমতে পারে। অ্যানিমিয়া বা রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্ত কণিকা কমে যাওয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, লিউকেমিয়া, কেমোথেরাপি, অতিরিক্ত মদ্যপান, পিত্তথলির মারাত্মক রোগ, ভিটামিন বি-১২-এর স্বল্পতা ইত্যাদি কারণেও প্লাটিলেট কমে। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্লাটিলেট ভেঙে যেতে পারে। প্লাটিলেট প্রতি মাইক্রোলিটারে ২০ হাজারের নিচে নামলে শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে। যদি এ সংখ্যা প্রতি মাইক্রোলিটারে ৫ হাজারের নিচে নেমে যায় তখন কিডনি, হার্ট বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ভয় থাকে।

কাজেই ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট আতঙ্কে ভুগে ঘন ঘন টেস্ট না করে যে বিষয়টি খেয়াল করা দরকার, তা হচ্ছে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না এবং রক্তচাপ কমছে কি না তার খেয়াল রাখা। ডেঙ্গুজ্বরের প্রদাহজনিত কারণে রক্তনালির গাত্রে ছিদ্র একটু বড় হয়। তখন সেখান থেকে রক্তের জলীয় অংশ বলে পরিচিত রক্তরস বাইরে আসে। যাকে প্লাজমা লিকিং বলা হয়। এই রক্তরস পেটে এবং ফুসফুসে জমে। রক্তের এ রক্তরস কমে যাওয়ায় শরীরের রক্তচাপ কমে। হার্টবিট কমে। রক্তপ্রবাহ কমে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। রোগী তখন শকে চলে যায়। একে বলা হয় ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এই শক সিনড্রোমেই রোগীর মৃত্যু ঘটে।

সে পরিপ্রেক্ষিতে প্লাটিলেট আতঙ্কে না ভুগে খেয়াল রাখতে হবে শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না এবং রক্তচাপ সঠিক আছে কি না। রক্তক্ষরণে শরীরের চামড়ার নিচে পিন পয়েন্টের সূক্ষ্ম রক্তপাত, ত্বক বেগুনি রং দেখা যাওয়া, মাড়ি, নাক, প্রস্রাব বা মলের সঙ্গে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তক্ষরণে, যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফেভার নামে পরিচিত, রোগীকে তরল খাবার বা ওরাল স্যালাইন এবং প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। রোগী পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না, তা দেখতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত তরল খাবার দিতে হবে। প্লাটিলেট শরীরে সঞ্চালন একটি ব্যয়বহুল ও জটিল প্রক্রিয়া। সব হাসপাতালে এ সুবিধা নেই। এক ইউনিট প্লাটিলেট দিলে ২০ হাজার কাউন্ট প্লাটিলেট বাড়ে। এক ইউনিট প্লাটিলেট তৈরির জন্য চারজন রক্তদাতার শরীর থেকে রক্ত নিতে হয়।

কাজেই প্লাটিলেট কমলেই ঘন ঘন কাউন্ট করা, পরীক্ষা করা ও দুশ্চিন্তা করায় কোনো কাজ হয় না। দেখতে হবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না, শরীর পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না এবং রক্তচাপ কমছে কি না। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন দিতে হবে শিরায়। তার আগে তরল খাবার, ওরাল স্যালাইন খাওয়ানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। রোগীকে সুষম খাবার দিতে হবে। তবে কিছু কিছু খাবার রক্তে প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, পেঁপে পাতার রস এবং পাকা পেঁপের জুস ডেঙ্গুজ্বরে প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে যেসব খাবার অবদান রাখে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আছে—মিষ্টি কুমড়া, লেবু, আমলকী ও টক জাতীয় ফল, আদা, হলুদ, পালংশাক, ডালিম ও অ্যালোভেরা। মিষ্টি কুমড়া ও এর বীজে থাকা ভিটামিন ‘এ’ রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। লেবু, টক জাতীয় ফল ও আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্লাটিলেট বাড়ায়। ডালিমে প্রচুর আয়রন আছে। ডালিমের রস বা আয়রন সমৃদ্ধ তরল খাবার খাওয়ালে প্লাটিলেট বাড়ে। আর রক্তের যে কোনো সংক্রমণের অ্যালোভেরা প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। তাই প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার জুস খাওয়া যায়। ডেঙ্গুজ্বরের প্রভাব কমে গেলে প্লাটিলেট এমনিতেই বৃদ্ধি পেতে থাকে।

মশা আছে বলে ডেঙ্গু রোগ কোথাও ঘাঁটি গাড়লে তা নির্মূল হয় না। এডিস মশার লার্ভা যাতে মশায় রূপান্তরিত না হয় সেদিকে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে। কোনো বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলে সেই বাড়ি ও আশপাশের কমপক্ষে ৫০টি বাড়িতে অভিযান চালাতে হবে লার্ভা শনাক্তের। লার্ভা পেলে প্রয়োজনে জরিমানা করতে হবে। ডেঙ্গু রোগ হলে ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্লাটিলেট আতঙ্কে ভুগে লাভ হবে না। এটি কোনো মেডিকেল ইমার্জেন্সি নয়।

লেখক : সাবেক সচিব

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

মাছ চাষের নামে বাঁধ, পানির তলে শত বিঘা আমন ধান

ঘরে বসেই ঘন ও স্বাস্থ্যবান চুল পেতে মেনে চলুন এই ৭ টিপস

সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা 

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা, আ.লীগ নেতা মানিক গ্রেপ্তার

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-আতিক, রিমান্ডে কিরণ

কক্সবাজারে মাহিন গ্রুপের ২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ভক্তদের চমকে দিলেন হানিয়া আমির

১০

রক্তের দাগ অনুসরণ করে মিলল অটোচালকের মরদেহ

১১

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ গতিশীল হোক

১২

ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের

১৩

জুলাই হত্যাযজ্ঞ / পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

১৪

বিল বেশি আসায় লাইনম্যানকে ‘মারধর’, মিটার খুলে নিল বিদ্যুৎ অফিস

১৫

নেদারল্যান্ডস সিরিজ খেলবেন না মিরাজ

১৬

ভয়াবহ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ অনুমোদন, গাজার পথে ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা

১৭

রাতের আঁধারে সরকারি ৩০০ বস্তা সার আটক

১৮

'ওয়ার ২'-এর সাফল্যের মাঝে প্রিয়জন হারালেন জুনিয়র এনটিআর

১৯

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ‘পেছনে’ ফেলে ইতিহাস সালাহ’র

২০
X