সদ্য প্রণীত মার্কিন শ্রমনীতি সামষ্টিক দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং একটি ন্যায্য কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার মাধ্যমে শ্রমিক অধিকারকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের লক্ষ্য হচ্ছে, ইউনিয়নগুলোকে শক্তিশালী করা, কর্মীদের অন্যায্য শ্রম দেওয়া থেকে রক্ষা করা। এ ছাড়া তাদের আরও ভালো মজুরি ও কাজের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যদিও এই নীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতলবের প্রভাব স্পষ্ট, যার ফলাফল প্রতিফলিত হতে পারে বিশ্বব্যাপী; বিশেষ করে দেশ রপ্তানিমুখী শিল্পের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল দেশগুলো।
এসব দেশের মধ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) সেক্টরে অন্যতম প্রধান হিসেবে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ফলে রাজনৈতিক কারণে নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় ওই প্রভাব ও প্রতিফলনের শিকার হবে কি না, এমন ভাবনাও রয়েছে। তবে নতুন কিন্তু অপ্রত্যাশিত এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই; যদিও গার্মেন্টস সেক্টরের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়াতে কিছু বিষয় সমাধান করা দরকার।
সর্বশেষ মার্কিন শ্রম আইনের বিষয়বস্তু:
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি ঘোষিত ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ (নভেম্বর ২০২৩) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক অধিকার এবং শ্রমের মানকে শক্তিশালী করতে বাইডেন প্রশাসনের অঙ্গীকারের রূপরেখা তুলে ধরেছে। এটি ইউনিয়নের অধিকার রক্ষা, সমষ্টিগত দরকষাকষির প্রচার, যথাযথ শ্রম আইন প্রয়োগ, ইউনিয়ন গঠন সহজতর করার ওপর জোর দিয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যে নিজেদের কণ্ঠস্বর রয়েছে, তা নিশ্চিত করারও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এতে। অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ওএসএএইচএ) কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যমান প্রয়োগ করতে কাজ করবে। এই নীতিতে কর্মক্ষেত্রে পরিদর্শনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনকারী নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে সিভিল পেনাল্টি অনুসরণ করার ধারাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রতি ঘণ্টায় ১৫ ডলারে উন্নীত করার ব্যাপারে সমর্থন করেছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন বেতনভুক্ত এসব পরিবারের চিকিৎসা ছুটি, কর্মীদের অবসরকালীন নিরাপত্তা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেছে এই নীতিতে।
বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরে সম্ভাব্য প্রভাব: মার্কিন শ্রম অধিকার নীতি সমুন্নত রাখতে ব্যর্থ দেশগুলোর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একটি প্রধান রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার পরিণতি হিসেবে মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে পণ্যের সোর্সিংয়ের সময় বাড়তি যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে পারে। এর ফলে এই সেক্টরে প্রস্তুতকারকদের কাজের পরিবেশ এবং শ্রম অনুশীলন বা শ্রম ব্যবহারের মূল্যায়ন হতে পারে। এ ছাড়া উন্নত শ্রম-মান ও ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের ফলে পোশাক প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এই পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রভাবিত করতে পারে পণ্যের দাম ও প্রতিযোগিতার মার্কেট। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং এ খাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশের অর্থনীতিতে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি বাংলাদেশি পোশাক নির্মাতাদের জন্য তৈরি করতে পারে চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বাংলাদেশের পোশাক খাতে এ নীতির বাস্তবায়ন ও প্রভাব রয়েছে অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। কারণ তারা আশঙ্কা করছে, যদি কঠোর শ্রমনীতি প্রয়োগ করা হয়, এই শিল্প ধ্বংস হতে পারে, তারা চাকরিহারা হতে পারে। এ ছাড়া অধিকতর যাচাই-বাছাই এবং সম্ভাব্য শ্রমিক বিরোধ বা অসন্তোষ এই সেক্টরের উৎপাদন ও রপ্তানিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। শেষমেশ আমেরিকান বড় কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনতে পারে, নতুন মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম অনুশীলনসহ দেশগুলোর দিকে ধাবিত হতে পারে। আর এই প্রবণতা বাংলাদেশ থেকে অর্ডারগুলোকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারে; যার ফলে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে পোশাক রপ্তানিতে।
সরকার, এ শিল্পের প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ : বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ হওয়ায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান মেনে চলার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে। সরকার এরই মধ্যে শ্রম আইন ও কারখানা পরিস্থিতির সংস্কার করেছে। পাশাপাশি দেশের রপ্তানি বাজারকে সুরক্ষিত রাখতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নৈতিক ও টেকসই শ্রম অনুশীলনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
বাংলাদেশ সম্প্রতি নতুন ও অদক্ষ গার্মেন্টসকর্মীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি করেছে ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমান ন্যূনতম মাসিক বেতন ১২,৫০০ টাকা। স্থায়ী ও দক্ষ শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম বেতনের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া মাসিক বেতন, শ্রমিকদের ওভারটাইমের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত বেতনের ব্যবস্থা। পাশাপাশি তারা টিফিন ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, কোম্পানির মুনাফা শেয়ার, পূর্ণ বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি, মৃত্যু ভাতা এবং বেতনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ছুটি পান। বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের আয় গড়ে ২০ হাজার টাকা। এখানে শহর ও গ্রামের মানুষের ব্যয় এক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের পরিবার বাস করে গ্রামাঞ্চলে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশের শ্রমিকদের সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতনের তুলনা করা যথার্থ নয়। সব শর্ত বিবেচনা করে এবং ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের বেতন কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করে ন্যূনতম বেতন বাড়ানো যেতে পারে। আমাদের পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক অবস্থার (যেমন মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার মান, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি) বিবেচনা করে সংস্কার করতে হবে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো।
বাংলাদেশ এসডিজি-৮-এর শর্ত পূরণ করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ’ নির্ধারণ করার নিশ্চয়তা দেয়। ২০০৬ সালের শ্রম আইন (২০১২ ও ২০১৮ সালে সংশোধিত) বেশ আপ-টু-ডেট এবং এটি অনুসরণ করছে আইএলওর মানদণ্ড। এমনকি বাংলাদেশের শ্রম আইনে জোর দেওয়া হয়েছে শ্রম অধিকার, নিরাপত্তা, মাতৃত্ব এবং শ্রমিকদের সামগ্রিক কল্যাণের ওপর।
স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ:
সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, শিল্প খাত ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে অবিলম্বে সহযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত; কারখানার মালিক ও শ্রমিক; কারখানা ও ক্রেতার মধ্যে আলোচনা; দেশের সরকার ও বিদেশি সরকারগুলোকে অবিলম্বে শ্রম অধিকার, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, কিছু কমপ্লায়েন্স ইস্যু ও নিরাপত্তা বিষয়সহ এই খাতের সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর সমর্থন তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি;
এখন প্রতিটি অফিসে কমপ্লায়েন্স অফিসার বাধ্যতামূলক। তবে কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করা। এ ছাড়া প্রতিটি সেক্টরে কমপ্লায়েন্সের ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে;
বাংলাদেশের শ্রম আইনের ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করে গবেষক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসীদের মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রচারণা চালানো উচিত;
ক্রেতাদের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার আয়োজন করা এবং বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সম্পর্কে পরামর্শ করা এবং উচ্চ মূল্যের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকদের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি করা;
ন্যূনতম মজুরি হার নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের বেতন বিবেচনা করে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ১৪,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ন্যূনতম মজুরির যৌক্তিকতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া সরকারের উচিত বাংলাদেশি ও অন্যান্য এশিয়ান বা অনুরূপ দেশের মধ্যে মজুরির হার এবং শ্রমের অন্যান্য সুবিধার তুলনামূলক পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের প্রচারের উদ্যোগ হাতে নেওয়া (উদাহরণ- বাংলাদেশি শ্রমের গড় মজুরি হার, ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে মজুরির হার ইত্যাদি);
কিছু কারখানা ও মালিক শ্রম আইন ও নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে না এবং শ্রমিকদের সময়মতো বেতন দেয় না। এটি মাঝে মধ্যে বিকাশমান এই খাতে অস্থিরতার সৃষ্টি করে। এ ধরনের কারখানা ও এই খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য সংঘটিত আরও কিছু ষড়যন্ত্র নজরদারি করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে;
এ ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি মিশন ও উন্নত দেশগুলোতে বসবাসকারী অভিবাসীদের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের বিদেশি বন্ধু ও অর্থনৈতিক অংশীদারদের কাছে বাংলাদেশের পোশাক খাতের ক্রমবর্ধমান বাস্তব চিত্র সম্পর্কে সত্য প্রচারে তাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ:
রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে হবে যেমন—চামড়া, জুতা, ওষুধ আবার কৃষিভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত পণ্য যেমন—পাট ও হাতের কারুশিল্পের ওপর জোর দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে আইসিটি ও সফটওয়্যার শিল্পের প্রসার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রপ্তানি শুধু গার্মেন্ট সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল (প্রায় ৮০ শতাংশ)। এটি বহুমুখীকরণ করা এখন সময়ের দাবি;
গার্মেন্টস পণ্যের মাত্র ১৫-১৭ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। নিরাপত্তার জন্য আমাদের উচিত আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে নতুন বাজার খুঁজে বের করা। এ ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ভালো সমাধান খুঁজে বের করতে প্রয়োজন আরও গবেষণা;
বাংলাদেশকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা, অভিজ্ঞতা এবং বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও বিনিময়ের মাধ্যমে শ্রম দক্ষতা উন্নত করতে হবে। সেই জ্ঞানের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিকরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত হতে পারবে এবং কারখানার মালিকদের সঙ্গে দরকষাকষির সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে, যা তাদের জন্য মঙ্গলের;
কাঁচামাল উৎপাদন ও বিশেষজ্ঞ তৈরিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করার মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্পকে বিশেষভাবে উপযুক্ত ও প্রস্তুত হতে হবে। প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিও গুরুত্বপূর্ণ;
সবশেষে আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতির সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সচেতন। আন্তর্জাতিক শ্রমমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইন ও এর প্রয়োগে উন্নতি ঘটাতে সক্রিয়ভাবে কাজের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আর এভাবে সম্ভব হতে পারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ আরএমজি সেক্টরের স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশের পোশাক খাতের স্টেকহোল্ডার, পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক এবং সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো মার্কিন শ্রমনীতিকে ঘিরে চলমান আলোচনা সম্পর্কে অবহিত থাকা এবং যুক্ত থাকা। বাংলাদেশের শ্রম পরিবেশ, শ্রম আইন এবং বর্তমান ন্যূনতম মজুরির যুক্তির ইতিবাচক দিকগুলোর যথার্থ উপস্থাপনই এ খেলাকে বদলে দিতে পারে।
লেখক: সিনিয়র অধ্যাপক, গবেষক ও আইসিটি সেক্টরের অভিজ্ঞ একাডেমিক টিচিং অ্যাডভাইজার
সদস্য, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)