

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আহ্বায়ক আব্দুর রহিমের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক, মুক্তিযোদ্ধা রবিউস সামাদ, মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান সরকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব আব্দুল হাই প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চিলমারীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতারা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার বলেন, ‘আজ আমাদের জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। বহুদিনের দাবি ছিল চিলমারীতে হানাদারমুক্ত দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে পালনের। অবশেষে সেই দিন এসেছে। ভবিষ্যতেও এ কর্মসূচি নিয়মিত পালিত হবে বলে আমরা আশা করি।’
ইউএনও সবুজ কুমার বসাক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ। চিলমারীর বীরত্বগাথা জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করতে প্রশাসন কাজ করবে।’
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চিলমারীর ভূমিকাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর চিলমারী হানাদারমুক্ত হলেও দিনটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়নি। এবার প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন