

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, জেলা বিএনপির সভাপতি ও নরসিংদী-১ সদর আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, বেগম খালেদ জিয়া সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গিয়েছিল। তাকে ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত কারাগারে নিয়ে রাখা হয়। যেখানে মানুষ থাকার কোনো পরিবেশ ছিল না, পোকার আশ্রয়স্থল ছিল। সেখানে রেখে তাকে স্লো পয়জনিং করে ও মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে ৬টি বছর বিনা কারণে বিনা অপরাধে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী শিশু একাডেমিতে জাতীয়তাবাদী ওলামা নরসিংদী জেলার উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মতবিনিময় সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ বলেছিল পতন হলে বিএনপির হাতে ১০ লাখ লোক হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে, সেটি হয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরও করা হয়নি। দলের ভিতরে কিছু কিছু হাইব্রিড নেতা ঢুকে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে। দল থেকে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই এই দলে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের কোনো ঠাঁই নেই। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। কিছু ইসলামিক দল আছে যারা জনগণকে বিভ্রান্ত করে। ওমুক-তমুক প্রতীকে ভোট না দিলে ইমান থাকবে না, কোরআন সুন্নাহ থাকবে না। যারা কোরআন হাসিদের সঙ্গে আছে বিএনপিও তাদের সঙ্গে আছে। বিএনপি করার অপরাধে দীর্ঘ ১৭ বছর নেতাকর্মীদের হত্যা-গুম করা হয়েছে। গুম হওয়া স্বজনদের আহাজারি কেবল গুম হওয়া পরিবাররাই বলতে পারবে। পরিবারের লোকজন জানে না তাদের লাশ কোথায়, কোথায় গিয়ে দোয়া করবে। ইমাম-আলেমদের গ্রেপ্তার করে ওজুর পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। জালিম সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে শাপলা চত্বরে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দল, নরসিংদী জেলা শাখার আহ্বায়ক রবিউল আলম, জেলার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নোমান আহমেদ, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মোল্লা, জেলা ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেনসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন