কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০৩:০৩ এএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিমল বিশ্বাসের নিবন্ধ

মার্কসবাদ ছিল তার জীবনের সমস্ত সত্তায়

মার্কসবাদ ছিল তার জীবনের সমস্ত সত্তায়

চলে গেলেন কমরেড হায়দার আকবর খান রনো। শুক্রবার রাতে গভীর বেদনা নিয়ে তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। তার এই চলে যাওয়া একেবারে আকস্মিক নয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। বার্ধক্য তাকে ঘিরে ধরেছিল। কয়েক বছর ধরে তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। তাই মনকে তৈরি করে নেওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবু শেষ হতে থাকা এবং শেষ হয়ে যাওয়ার মধ্যে কতটাই না তফাত। পরিণত বয়সেই মৃত্যু। তবুও মৃত্যু মানেই গভীর দুঃখবোধ, মৃত্যু মানেই হৃদয়ের গভীরে স্থায়ী শূন্যতা। কমরেড হায়দার আকবর খান রনো এবং অমল সেন উভয়ের জন্ম নড়াইল। সেই জেলার মানুষ হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। ষাটের দশকের শুরুতে যে বিশাল ও ব্যাপক শিক্ষা আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার নেতা ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। ওই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠনগত যে ব্যাপকতার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কমরেড হায়দার আকবর খান রনো। তিনি সেই ছাত্রজীবন থেকে তত্ত্বগত লড়াইয়ে এবং সারা জীবন ধরে আমাদের দেশ ও উপমহাদেশসহ বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন তাত্ত্বিক হিসেবে তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখে গেছেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনসহ সমগ্র শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলনের লড়াইয়ে অবদান রেখে গেছেন। শুরু করেছিলেন সাম্য ও সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়াই। সারা জীবন সেই লড়াইয়ে নিজেকে নিয়োজিত রেখে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন, তিনি মার্কসবাদী আদর্শ গ্রহণ করেছিলেন জীবনের সব সত্তা দিয়ে।

১৯৬২ সালজুড়ে যে ঐতিহাসিক সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও পরে শিক্ষা আন্দোলন হয়, রনো তার নেতৃত্বে ছিলেন। তখন পর্যন্ত কোনো সংগঠিত ছাত্র সংগঠন ছিল না। ছাত্রনেতারা ঠিক করলেন ১৯৫২ সালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নকে (যা ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের পর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল) পুনর্জীবিত করা হোক। বস্তুত পুরোনো নাম গ্রহণ করলেও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নকে নতুন করে গঠন করা হয়েছিল।

অক্টোবর মাসে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই সংগঠনের পুনর্জন্ম হয়েছিল। ওই সম্মেলনে হায়দার আকবর খান রনো ’৬২-এর আন্দোলনের ওপর রাজনৈতিক রিপোর্ট পেশ করেন। ডা. আহমদ জামানকে সভাপতি, কাজী জাফর আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ও হায়দার আকবর খান রনোকে যুগ্ম সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ’৬২ সালে রনো দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ’৬২-এর মার্চ মাসে তাকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে রাখা হয়েছিল। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। যেখানে ছাব্বিশ সেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তিনি একত্রে ছিলেন।

পরের বছর ১৯৬৩ সালে হায়দার আকবর খান রনো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে ও দক্ষ সাংগঠনিক যোগ্যতার কারণে সেই সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৯৬৪ সালে তার নামে হুলিয়া বের হয়, যা তখনকার সব পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল। তিনি আত্মগোপনে গেলেন। কিন্তু দুই মাস পর ধরা পড়েন। তাকে গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে দুই দিন ও দুই রাত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছিল; ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। মাথার ওপর রাখা হয়েছিল অনেক পাওয়ারের বৈদ্যুতিক বাতি।

১৯৬৫ সালে তার জেলে থাকাকালেই ছাত্র ইউনিয়নের একাংশকে (মেনন গ্রুপ) সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ইতোমধ্যে ১৯৬৫ সালে তিনি রেল ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং আবার স্বল্পকালের জন্য কারারুদ্ধ হন। জেলে থাকা অবস্থায় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, মুক্তির পর তিনি আর ছাত্র সংগঠন করবেন না এবং সরাসরি শ্রমিক বা কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সরাসরি শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

১৯৬৬ সালে কাজী জাফর আহমদ ও হায়দার আকবর খান রনো টঙ্গী শ্রমিক এলাকায় শ্রমিক আন্দেলনের সঙ্গে যুক্ত হন। এই দুজন একত্রে টঙ্গী অঞ্চলে যে শ্রমিক আন্দেলন গড়ে তুলেছিলেন, তা বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।

হায়দার আকবর খান রনো ঢাকার বাসা ছেড়ে টঙ্গীর শ্রমিক বস্তিতে বাস করতে শুরু করেন। সাপ্তাহে এক-আধবার ঢাকায় আসতেন রাজনৈতিক কারণে। মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মীর নিজস্ব বাড়ি-ঘর ছেড়ে শ্রমিক বস্তিতে দিনের পর দিন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমিক আন্দোলন ও বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলার ঘটনা আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। রনোর এই জীবন বিপ্লবীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়ে তিনি শ্রমিক কলোনি বা বস্তিতে বাস করতেন। টঙ্গীতে যে ধরনের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছিল, তাতে এবং শ্রমিকদের মধ্যে তার যে ধরনের বিশাল জনপ্রিয়তা ছিল, তাতে টঙ্গী অঞ্চল থেকে পুলিশের পক্ষে খুব বড় রকমের প্রস্তুতি ও ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া তাকে গ্রেপ্তার করা সহজ ছিল না। এরপর তিনি আর কখনো গ্রেপ্তার হননি। তবে আত্মগোপনে গেছেন অনেকবার।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও তার ভূমিকা ছিল। একদিকে টঙ্গীতে শ্রমিক আন্দোলন, পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা—দুটিই পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টঙ্গী থেকেই শুরু হলো ঐতিহাসিক ঘেরাও আন্দোলন। এই আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরে ঘেরাও আন্দোলন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। রনোকে তখন টঙ্গীর বাইরে অন্যান্য শ্রমিক অঞ্চলেও যেতে হয়েছে সংগঠন গড়ে তুলতে ও নেতৃত্ব দিতে। বলা যেতে পারে, তার নেতৃত্বে এক নতুন ধারার শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।

১৯৬৯-৭০ সালে দ্বিতীয় সামরিক শাসন আমলে টেক্সটাইল শ্রমিকদের যে ঐতিহাসিক দুই মাসব্যাপী বেআইনি ধর্মঘট হয়েছিল, রনো ছিলেন তার নেতৃত্বে। টঙ্গী অঞ্চলে অসংখ্য বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন এই সাহসী নেতা হায়দার আকবর খান রনো। সেসব ঘটনা এখনো কিংবদন্তির মতো রয়েছে। ১৯৭০ সালে তিনি তদানিন্তন সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ছেলেবেলায় পারিবারিক সূত্রে তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শের সংস্পর্শে আসেন। কিছু কিছু মার্কসবাদী গ্রন্থ তিনি স্কুলজীবনে কলকাতা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৬৫ সালের আগে এদেশে মার্কসবাদী সাহিত্য নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৬০ সালে তিনি গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। ১৯৬৬ সালে গোপন কমিউনিস্ট পার্টি আন্তর্জাতিক মতবিতর্কের ফলে বিভক্ত হলে তিনি তথাকথিত চীনপন্থি অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তী দুই বছরে ওই অংশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে একত্রে গঠন করেন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি।

১৯৭১ সালে এই সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি সশস্ত্র ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল। এসব অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও রাজনৈতিক পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার কাজে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি শিবপুর যান, যেখান থেকে পরে সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র ঘাঁটি অঞ্চলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। শিবপুরের সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল বিশাল মুক্তিবাহিনী এবং ঘাঁটি অঞ্চল। সেখান থেকে তিনি এবং রাশেদ খান মেনন নানা পথ ঘুরে টাঙ্গাইলের বিন্নাফুর গ্রামে গিয়েছিলেন মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে (৩ এপ্রিল, ১৯৭১)। পরদিনই মওলানা ভাসানীর বাসা পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক আক্রমণ করা হয়েছিল।

১৯৭১ এর ১ ও ২ জুন কলকাতার বেলেঘাটায় ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সহায়তায় বামপন্থিদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছিল। হায়দার আকবর খান রনো এই কমিটির ঘোষণাপত্র রচনা ও পেশ করেছিলেন।

১৯৭৩ সালে কমরেড রনো ও অন্য সহকর্মীরা মিলে গঠন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী)। পরে ১৯৭৯ সালে পার্টির নাম পরিবর্তন করা রাখা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রথম থেকেই তিনি পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ১৯৭৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ সালে রাশেদ খান মেননের সঙ্গে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত বিরোধ তৈরি হলে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির একাংশ নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন।

মওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হলেও এবং বিভিন্ন সময় ন্যাপের কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখলেও তিনি কখনো ন্যাপের সদস্য হননি। ১৯৭৪ সালে ইউপিপি গঠিত হলে তিনি তার সহসভপতি ছিলেন ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জাতীয় পর্যায়ের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় বুর্জোয়া সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং প্রতিটি রাজনৈতিক প্রশ্নে শ্রমিক শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন তত্ত্বগতভাবে এবং বাস্তব সাংগঠনিক আন্দোলনগত কাজের মধ্য দিয়ে। রনোর মধ্যে বাস্তব সংগ্রাম ও তত্ত্বেও সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। সাহস, দৃঢ়তা, কৌশলগত নমনীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার এক অপূর্ব সমন্বয় রনো।

এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে তিনি প্রথম থেকেই নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। সাতবার তার নামে হুলিয়া জারি হয়েছে। প্রতিবারই তিনি আত্মগোপনে থেকে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন। এরশাদ আমলের ৯ বছরে তার বাসায় ৫০ বারের বেশি মিলিটারি পুলিশ রেইড করেছিল। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের তিনি ছিলেন অন্যতম রূপকার।

লেখক: প্রবীণ বাম রাজনীতিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

এসএমসিতে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে নাতির পর নানির মৃত্যু

ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন আজ

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

২৬ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

ডাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু আজ

তিন সহযোগীসহ ‘মাদক সম্রাট’ শাওন গ্রেপ্তার

ফের সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০

২৬ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

১১

পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

১২

ক্ষমতায় গেলে এক কোটি কর্মসংস্থান করবে বিএনপি : টুকু

১৩

ড. ইউনুস কি ভালো ভোট করতে পারবেন : মান্না

১৪

ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্কবার্তা দিলেন আমিনুল হক

১৫

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, চাচাতো চাচা রফিকুল রিমান্ডে 

১৬

জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু ১ সেপ্টেম্বর

১৭

স্থপতি মোশতাক আহমেদের বাবার মৃত্যুতে রাজউক চেয়ারম্যানের শোক

১৮

আফ্রিদির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি, উকিল খুঁজছেন স্বপন

১৯

মুন্সিগঞ্জে ‘গত আগস্টে লুট করা অস্ত্র’ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা

২০
X