কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

স্থাপত্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার আধুনিকায়ন প্রয়োজন

ড. সজল চৌধুরী
স্থাপত্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার আধুনিকায়ন প্রয়োজন

একজন স্থপতি তার স্থাপত্য নকশায় কীভাবে একটি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা নির্মাণ করবেন, যেখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আসন্ন বিভিন্ন রোগজীবাণু, মহামারি কিংবা পরিবেশের ভয়াবহতা যেমন বর্তমানে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন, সে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিলাম। বিষয়টি নিয়ে নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু পড়াশোনা এবং জানার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে আমাদের দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য। বর্তমানে আমাদের দেশের স্থাপত্য নির্মাণের জন্য নির্মাণ বিধিমালা কিংবা বিভিন্ন ধরনের কোড রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০-এর তৃতীয় পর্বের চতুর্থ চ্যাপ্টার নতুন একটি সেকশন সংযুক্ত হয়েছে, যার নাম এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড সাসপেনবিলিটি। সেখানে পরিবেশের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে, যা স্থাপত্য চর্চায় সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে আমাদের যে বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি ভাবতে হবে, তা হচ্ছে আগামীর শহর এবং গ্রামগুলোর স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশের গুরুত্ব, শক্তি সঞ্চয় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা—এ বিষয়গুলো নিয়ে।

বর্তমানে আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে একটি স্থাপত্য নকশা অনুমোদন হয়, সেখানে পরিবেশগত ভারসাম্য কিংবা বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে উল্লিখিত পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ের নিশ্চয়তা এখনো দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মূল কারণ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে থেকে কোনো ধরনের এনার্জি মনিটরিং কিংবা পর্যবেক্ষণ টিম সঠিক বিশেষজ্ঞ দ্বারা তৈরি করা সম্ভব হয়নি, যা সময়ের প্রয়োজনে প্রতিটি স্থাপনা থেকে শক্তি সঞ্চয় থেকে শুরু করে বসবাসকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এখন প্রশ্ন হতে পারে, এ কাজগুলো যারা করবে আমরা কি সেই বিশেষজ্ঞ কিংবা প্রফেশনাল টিম বর্তমান প্রচলিত স্থাপত্য শিক্ষায় তৈরি করতে পারি কি না? বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ে।

বিগত বছরগুলোয় দেখা যায়, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত নির্মাণে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত পোশাকশিল্প এবং বাণিজ্যিক ভবন খাতে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর নিশ্চয়তা এবং সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নির্ধারণ করার একটি মাপকাঠি পরিণত হয়েছে যেমন শক্তি সঞ্চয় করে এমন স্থাপত্য ভাবনা কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। সে ক্ষেত্রে লিড (LEED) থেকে শুরু করে অনেক ধরনের সার্টিফিকেশন সিস্টেমের উদ্ভব হয়েছে। তবে যাই হোক, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠতেই পারে! এ আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানগুলো কি সত্যিই আমাদের দেশের স্থানীয় জলবায়ু কৃষ্টি কালচার অগ্রাধিকারের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে? যদিও লিড সার্টিফিকেশন পরিবেশের সচেতনতা এবং বৈষয়িক এর মান মেনে চলার পরামর্শ দেয়; তবে বাংলাদেশের জলবায়ু এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এ বিষয়গুলো পুরোপুরি মেলানো আদৌ সম্ভব কি না, প্রশ্ন থেকে যায়!

তা ছাড়া স্বভাবতই জনসংখ্যার ভিত্তিতে এমনিতেই আমাদের বসবাসের জায়গাগুলোতে বসবাসকারী সংখ্যা অনেক বেশি। তাই সেখানে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেশি। এ অবস্থায় জানালা কিংবা কোনো খোলা জায়গা না থাকলে শ্বাসকষ্ট আছে এমন মানুষদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তা ছাড়া সূর্যের আলো, বসবাসের জায়গার অভ্যন্তরীণ রং মনের ওপর ওষুধের মতো কাজ করে। আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমসাময়িক অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে সেটি হলো, বর্তমানে আমরা এ সময়ে নিজেদের সবসময় ডিজিটাল (ভার্চুয়ালি) সংযুক্ত রেখেছি। এমনকি অত্যধিক ডিজিটাল সংযোগের কারণে একটি বাসায় বসবাসরত সবার মধ্যেই সামাজিক সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। আর এমনটি বলছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বর্তমান গবেষণার বিভিন্ন ধারা। এ অবস্থায় একজন স্থপতি কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে, যা ব্যয় বহুল হবে না এবং সহজে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে? কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, এমন কী ধরনের সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ নজর দিতে পারব, সুরক্ষা করতে পারব স্থাপত্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে? আমরা হয়তো খুব সহজেই নতুন কোনো নকশা চিন্তা করতে পারি! সব ধারণা সহজেই বাস্তবায়িত হয় না, গ্রহণযোগ্যতা পায় না। তাই এমন কিছু আমাদের ভাবতে হবে, যা সাধারণ মানুষ খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারে। বাস্তবায়িত করতে পারে তাদের সাধ্যের মধ্যে থেকে। কারণ তাদের সীমাবদ্ধতার কথা আমাদের ভাবতে হবে। তা ছাড়া পরিবেশগত পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুতগতিতে। আর এ পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অনেক মহামারির, যা হয়তো সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। এমন তথ্য স্থাপত্য ও পরিবেশ ভাবনায় অনেকবার উঠে আসছে। ‘জিরো কার্বন’ স্থাপত্যের কথা বলা হচ্ছে যেখানে নির্মাণ কৌশল এবং উপকরণের কথা ভাবতে হবে আরও বেশি করে। গবেষণা করতে হবে সুচারুভাবে। আমাদের দেশের জন্য একটি টার্গেট ঠিক করতে হবে। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি। এভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদি টার্গেট নির্ধারণ করতে হবে। সমসাময়িক চিন্তার সঙ্গে স্থায়ী চিন্তার সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

বিভিন্ন লেখায় আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নোট করেছি, যেটি হলো স্থাপত্যের মধ্যে জীবন বিজ্ঞানের একটি গভীর সংযোগ। তবে আমাদের দেশের স্থাপত্য শিক্ষা ও জীববিজ্ঞানের সংযোগটি এখনো পর্যালোচনার মধ্যে নেই অথবা পরিপূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত নয়, উপেক্ষিত! কারণ অণুজীববিজ্ঞান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কোডিং ও ডিকোডিং সিস্টেম, স্বাস্থ্যবিষয়ক স্থাপত্য এবং বেসিক চিন্তাভাবনা এ বিষয়গুলো স্থাপত্য শিক্ষার মধ্যে এখনো সেভাবে যুক্ত হয়নি। সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো বিশেষত যে কোনো স্থপতি কীভাবে ভবিষ্যতে কাজ করবে বা গবেষণা করবে তা জানা ও বৃদ্ধি করার জন্য আরও বেশি সময়ের প্রয়োজন। বিশ্বের সব দেশের স্থাপত্য শিক্ষা স্কুলগুলো এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। কারণ আমাদের দেশের একজন স্থাপত্যবিদ্যার শিক্ষার্থীকে অনেক বিষয় নিয়ে পড়তে হয়। সেখানে পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি সব বিষয়ে কিছু না কিছু মৌলিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। কিন্তু ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতায় যে বিষয়টি উপলব্ধি করছি, এখন পর্যন্ত স্থাপত্যবিদ্যায় ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে জীববিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, রসায়ন, ডাটা সায়েন্স কিংবা এনার্জি সায়েন্স; এ বিষয়গুলো খুব বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় না। কিংবা স্থাপত্য চর্চার সঙ্গে কীভাবে এগুলো নিয়ে চিন্তা করা সম্ভব; সেসব বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান প্রদানের বিষয়বস্তু এখন পর্যন্ত সিলেবাসে সেভাবে গুরুত্ব পায় না। কিন্তু বর্তমানে স্থাপত্যের যে কোনো গবেষণার সঙ্গেই মানুষের জীবনধারণের রীতিনীতি, অভিযোজন, পরিবেশের প্রভাব, পরিবেশের সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্য, স্বাস্থ্যের প্রভাব, রোগজীবাণুর প্রভাব, জীবনধারা, হরমোনের প্রভাব, নৃবিজ্ঞান এসব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। যার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ওপরে উল্লিখিত বিষয়গুলোর সম্পর্ক রয়েছে। কারণ একজন স্থপতি শুধু নকশা প্রণয়ন করেন না। তাকে ভাবতে হয় জীবনের প্রতিটি ধারার বিষয়ে। জীবনকে জানতে হয়। শুধু গবেষণায় নয়, বর্তমান বিশ্বে এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে প্রফেশনাল কাজের ক্ষেত্রেও। তাই পাঁচ বছরমেয়াদি স্থাপত্য শিক্ষায় এবং উচ্চতর গবেষণায় বাংলাদেশের স্থাপত্য শিক্ষার সিলেবাস নতুন করে ভাবা এখন সময়ের প্রয়োজন মানুষের কল্যাণে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পাঁচ বছরমেয়াদি স্থাপত্য শিক্ষা ব্যাচেলর ডিগ্রির পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চার বছরমেয়াদি ‘আর্কিটেকচারাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামক বিভাগ রয়েছে। যেখান থেকে চার বছরে একজন শিক্ষার্থী তাদের স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে আর্কিটেকচারাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিশেষ করে পরিবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে স্থপতিদের পাশাপাশি কাজ করে। এ বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা স্থপতিদের সঙ্গে নকশা প্রণয়নে কাজ করে। বিশেষ করে একটি স্থাপত্য নকশা কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে, কতটা শক্তি সঞ্চয় করবে কিংবা ক্লাইমেট চেঞ্জের সঙ্গে কীভাবে অভিযোজন ঘটাবে, এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। শুধু স্থপতিদের সঙ্গে নয়; প্রকৌশলী কিংবা নগর নগরবিদদের সঙ্গেও তারা পরিবেশের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে একটি বিশেষ প্রফেশনের সৃষ্টি হচ্ছে। যারা নিশ্চিত করবে একটি স্থাপনাকে কীভাবে সমসাময়িক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চালানো সম্ভব হয়। আমাদের দেশের জন্য বর্তমানে যা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্থাপত্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিশেষ প্রোগ্রাম ভবিষ্যতের স্থপতিদের শক্তি-দক্ষ কাঠামো ডিজাইন করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সহায়তা করবে। শক্তি-দক্ষ নকশা নীতিতে স্থপতিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, দেশ আমদানি করা শক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে এবং ভবনগুলো পরিচালনার জন্য আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

লেখক: স্থপতি, শিক্ষক (স্থাপত্য বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ও স্থাপত্য পরিবেশবিষয়ক গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মায়ামিতে হতে যাচ্ছে লা লিগার ম্যাচ!

বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে দেশে চাঁদাবাজি বাড়বে : চরমোনাই পীর

আওয়ামী সংশ্লিষ্টতা বিতর্কে বিসিবি থেকে বাদ ইসফাক আহসান

সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যা বললেন আমিনুল

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১০

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

১১

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১২

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

১৩

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

১৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

১৫

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

১৬

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার / এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১৭

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১৮

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৯

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

২০
X