গ্রিন পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে বসে ভারতীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্ন, ‘সাকিব আল হাসান আদৌ খেলবে তো!’ তখনো উত্তরটা ঠিকঠাক পায়নি সে। অনুশীলনে যে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে! মাত্র দশ বলের অনুশীলন—এরপর নেটের পাশে ছাতার নিচে বসে বাঁ হাতের আঙুল কয়েকবার দেখলেন! তারপর ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন, আর ফিরলেন না।
এটুকু অনুশীলন দেখে কে-ই বা বুঝবে যে, দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে দেখা যাবে সাকিবকে! বোঝার কথাও নয়। সেজন্যই বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটাও এসে গেছে শুরুতেই। সাকিব কতটা ফিট? প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের উত্তর, ‘সাকিবের চোট সংক্রান্ত কোনো কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে আমি শুনিনি।’ ফিরতি তো আরেকটি প্রশ্ন এসেই যাচ্ছে, তাহলে খেলছেন তো সাকিব? এবার এই লঙ্কান কোচ ফিজিওর রিপোর্টকেই সামনে আনলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় নেই। আমি ফিজিও বা কারও কাছ থেকে তার ইনজুরি সংক্রান্ত কিছু শুনিনি। সে সিলেকশনের জন্য বিবেচনায় আছে।’
কানপুরে সাকিবের দেখা মিলেছিল মিনিট পাঁচেকের মতো। ব্যাট-প্যাড নিয়ে ড্রেসিংরুম থেকে নেটে এসেছিলেন। শুরুতে দুটি ফাস্ট বল মোকাবিলা করলেন; এরপর আবার গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে এলেন। এবার থ্রোয়ার আর স্পিনার মিলিয়ে মোটে ৮ বল খেললেন, শেষ! আর একটা বলও খেললেন না। আঙুলের অবস্থা দেখলেন, চলে গেলেন। সাকিব ব্যাট হাতে ছন্দে নেই। সর্বশেষ কয়েক ইনিংসেই মিলেছে তার প্রমাণ। থিতু হচ্ছেন, কিন্তু বড় করতে গিয়ে ভুল করে বসছেন। বোলিংয়ে মোটামুটি ছন্দে থাকলেও চেন্নাইয়ে ছিলেন নিষ্প্রাণ। কানপুরের পুরোনো রূপে ফিরতে চাইবেন তিনি। বাংলাদেশ দলে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে কানপুরে আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার—আইপিএল ২০১৬ কলকাতার জার্সিতে এ
কানপুরে খেলেছিলেন তিনি।