দশ দিন আগে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যু-সংবাদ দিয়েছিলেন তার এক সময়ের সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গা। তিনিই আবার কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যু-সংবাদ দেওয়া পুরোনো টুইটটি মুছে দিয়ে স্ট্রিকের বেঁচে থাকার খবর দেন। এবার আর গুজব নয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলাদেশ দলের সাবেক পেস বোলিং কোচের স্ত্রী নাদিনে স্ট্রিক এক ফেসবুক পোস্টে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এ তারকা ক্রিকেটার। চলতি বছরের মে মাসে জানা যায়, লিভার এবং কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। ডাক্তাররা বলেছিলেন হিথ স্ট্রিকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। গতকাল তাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর দিয়ে ফেসবুক পোস্টে তার স্ত্রী লিখেছেন, ‘আজ ভোরে, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোববার, আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভালোবাসা এবং আমার চমৎকার সন্তানদের পিতাকে তার বাড়ি থেকে দেবদূতরা সঙ্গে নিয়ে গেছেন, যেখানে তিনি তার শেষটা পরিবার ও প্রিয়জনবেষ্টিত হয়ে কাটাতে চেয়েছিলেন। তিনি একা যাননি, আমাদের ভালোবাসা ও শান্তিতে আচ্ছাদিত হয়ে গেছেন। আমাদের অন্তর অনন্তকালের জন্য স্ট্রিকের সঙ্গে মিশে গেছে।’ নাদিনে পোস্ট শেষ করেছেন ‘যতক্ষণ না তোমাকে আমি পাই’ লিখে। সঙ্গে দিয়েছেন ভগ্নহৃদয়ের ইমোজি। চলতি বছরের মে মাসে অন্ত্রের ক্যান্সার ধরা পড়ে স্ট্রিকের। গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার ক্যান্সার চতুর্থ স্টেজে ছিল। ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে জন্মগ্রহণ করেন হিথ হিল্টন স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়া এ পেসার মূলত কোলন এবং যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ১০ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল হিথ স্ট্রিকের। এরপর জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন ১৮৯ ওয়ানডে ও ৬৫ টেস্ট। টেস্টে ১ হাজার ৯৯০ রান এবং ২১৬টি উইকেট রয়েছে তার। আর সাদা বলের ক্রিকেটে ২ হাজার ৯৪৩ রান এবং ২৩৯টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। জিম্বাবুয়েকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং পেশাতেও বেশ সফল ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন স্ট্রিক। আর ২০১৪ সালে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের। তার দুই বছরের দায়িত্বকালে বেশ উন্নতি করেন বাংলাদেশ দলের পেসাররা।
মন্তব্য করুন