টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান। ফাইনাল খেলার মতোও দল নিয়ে শুরু করেছিল বাবর আজমের দল। গ্রুপ পর্বের দাপুটে জয়গুলো দেখে হট ফেভারিট মনে হচ্ছিল তাদের। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেই ছাপ রেখেছিল তারা।
অথচ সেই পাকিস্তানকে বিদায় করে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। এমন হারের পর বিধ্বস্ত পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। সংবাদ সম্মেলনে এসে দেখেন তিনজন সাংবাদিক, তাও বাংলাদেশ ও ভারতের।
হারের চাপে অল্প কথায় শেষ করেন সংবাদ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। দারুণভাবে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কৃতিত্ব দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। ২৫২ রানের দারুণ সংগ্রহের পরও শেষ বলে ম্যাচ হাতছাড়া হয় পাকিস্তানের। দলের অন্যতম সেরা দুই বোলার হারিস রউফ ও নাসিম শাহকে ভালোই মিস করেছেন অধিনায়ক বাবর।
ম্যাচের পর সে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো হয়নি। মিডল ওভারে ভালো খেলেই ওরা জিতেছে। সেই জুটিটাই (সাদিরা সামারাবিক্রমা-কুশল মেন্ডিসের জুটি) আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। আমাদের শুরুটা ভালো হচ্ছে, শেষটাও ভালো করছি। তবে মিডল ওভারে উইকেট নিতে পারছি না।’ হারিছ-নাসিম থাকলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেন বাবর। শেষদিকে তাই বোলিং মেলাতেও হিমশিম খেতে হয়েছিল তাকে। বোলিং পরিকল্পনায় যে পরিশ্রম হয়েছে বাবরের, সেটা তার এ কথায়ই স্পষ্ট, ‘দিনশেষে আমরা আমাদের সেরা বোলারদের বোলিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ কারণে শাহিনকে শেষের থেকে দ্বিতীয় ওভারে খেলানোর চিন্তা করেছি। আর শেষ ওভারের জন্য জামান খানের ওপর ভরসা করেছি।’ প্রতিপক্ষের দারুণ ক্রিকেটের প্রশংসা করে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা সত্যিই ভালো খেলেছে। আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছে।’ ২৫১ রান তাড়ায় কুশল মেন্ডিসের দারুণ ইনিংস ও শেষদিকে চারিথ আশালঙ্কার ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং—দুটোই লঙ্কানদের নিয়ে গেল আরও একটি ফাইনালে। এ নিয়ে ১১ বার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
মন্তব্য করুন