কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মিয়ারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৫ পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে পানি ঢুকেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় উপকারভোগীরা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের নিচু এবং জায়গাটি মাটি ভরাট করে উঁচু না করে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। একই অবস্থা বিরাজ করছে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ি ও বেড়িবাঁধের পাশের আশ্রয়ণ কেন্দ্রেও।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীরা বলছেন, উপহারের ঘরগুলো নিচু জায়গায় করা হয়েছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু পানিতে ডুবে আছে প্রকল্পের ঘরগুলো। অথচ এ প্রকল্পের কাজের সময় স্থানীয় লোকজন জায়গাটি উঁচু না করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেছিলেন; কিন্তু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করেই অপরিকল্পিত আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউপির ভূমিহীনদের নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবাসন এলাকায় গিয়ে বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতরে ও বাইরে থাকতে দেখা যায়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশের নিচু জায়গাতেও বৃষ্টির পানি আটকা পড়ে আছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেঘনা নদীর পাড়ে মিয়ারহাটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৫টি ঘরের ভেতর ও বাইরের দিকে পানি জমেছে। সেখানকার উপকারভোগীরা ঘর ছেড়ে আশপাশের উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতিতে। স্বপ্নকুটির আশ্রয়ণের সভাপতি মো. মরণ আলী হাওলাদার বলেন, এই আশ্রয়ণে ৪৫ পরিবারের ২০০ মানুষ বসবাস। আমরা খুব কষ্টে আছি। বলার মতো না। আমাদের সমস্যাগুলো চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে বারবার বললেও এর কোনো প্রতিকার পাই না।
রায়পুরের ইউএনও অঞ্জন দাশ বলেন, মেঘনা নদীর পাড়ের ঘরগুলো সাবেক ইউএনও সাবরিন চৌধুরীর সময় করা হয়েছে। পানিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা আমাকে আশ্রয়ণ থেকে জানায়। দ্রুত আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন