বায়ুদূষণ কমাতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস ও মিনিবাস সড়ক থেকে প্রত্যাহার করতে বিআরটিএকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বায়ুদূষণ রোধে, ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত যানবাহন প্রত্যাহার এবং ডিজেল চালিত পুরোনো যানবাহনের নিঃসরণ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বিআরটিএকে অনুরোধ জানানো হলো।
রাজধানীতে বিনা বাধায় ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় বাস চলতে দেখা একটি সাধারণ ঘটনা। রংচটা, ভাঙাচোরা এসব বাসের বেশিরভাগেরই মেয়াদ ফুরিয়েছে এক যুগ আগে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ২০ বছরের পুরোনো বাস ও ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; কিন্তু এ আইন মানছেন না কেউই। বিআরটিএর হিসাবে, দেশে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ প্রায় ৫৮ লাখ নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ৮১ হাজার ৮৪৭টি। যার ৪১ শতাংশের বয়স ২০ বছরের বেশি। আর ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্যাঙ্কলরির সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৭৭২। যার ১৫ শতাংশ ২৫ বছরের পুরোনো।
ঢাকায় বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যানবাহনের কালো ধোঁয়াকে। গত কয়েক বছরে বাস, ট্রাকসহ বেশকিছু যানবাহনের সিএনজি ছেড়ে ডিজেলে ফেরার প্রবণতা বেড়েছে। তেলচালিত এসব বাহন ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এগুলো বাতাসে ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া ছড়াচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও দেখা যায় গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার হওয়া বাস, ট্রাক, পিকআপ বা সরকারি মালিকানাধীন গাড়িগুলোই কালো ধোঁয়ার প্রধান উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে রাজধানীর বায়ুদূষণের অন্তত ৪০ ভাগের জন্য দায়ী এই কালো ধোঁয়া।
গত বছর বাসের ২০, ট্রাকের ২৫ বছর আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়। নির্দেশনা দেওয়া হয় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ধ্বংসের। কিন্তু বাস মালিকদের চাপে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়।