আন্দোলনরত শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখে ‘মার্চ টু যমুনা’ বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের চাকরি থেকে টার্মিনেট করে দেন। আমরা সিএনজি চালাব, কৃষিকাজ করব। আপনার ভিক্ষার চাকরি করব না।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘২০ শতাংশ ছাড়া যাবেন না। ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ছাড়া যাবেন না। উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ ছাড়া যাবেন না। আমরা কথা দিলাম প্রয়োজনে শহীদ মিনার থেকে জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের প্রত্যেকটা নেতার একটা একটা লাশ যাবে।’
শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা প্রদান, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা। এসব দাবির বাস্তবায়নে এখনো সরকার প্রজ্ঞাপন জারি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। সেখান থেকে দেওয়া আল্টিমেটামে তারা জানান, বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এ ছাড়া, দাবি মেনে না নিলে পরবর্তী ধাপে আমরণ অনশন শুরু করারও ঘোষণা দেন তারা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে; তবে এই ঘোষণা ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। এরপর ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়, যাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা করা হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাদের মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ১ হাজার টাকার বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হতো, যা সাম্প্রতিক সময়ে ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে শিক্ষকরা বছরে দুটি উৎসব ভাতা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে পেতেন; তবে গত মে মাসে বাড়ানোর পর এখন তারা এবং অন্যান্য এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন