আগামী নির্বাচন বর্জন করলেই বিএনপির পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ক্রমাগত নির্বাচনবিমুখতা এবং চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হতে যাওয়া বিএনপি আজ খাদের কিনারে। তারেক রহমান যতদিন নির্বাচন করতে না পারবেন, ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন মেম্বার নির্বাচনও করতে পারবেন না—এটিই এখন দলটির নীতি। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আসরারুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
মানুষের পাশে দাঁড়ানো শিখুন : যুব মহিলা লীগের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচিতে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বড় একটা রাজনৈতিক দল হয়েও মানুষের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিএনপির শেখা উচিত। এ সময় যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলেয়া সারওয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল যেন জনগণ পায় সেজন্য সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি আসলে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যখন এ প্রকল্প নেওয়া হয়, এর বরাদ্দ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। এত অর্থ ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি, যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য দিয়েছেন। কিন্তু নগরবাসী এখনো সেটির সুফল পেতে শুরু করেনি। গতকাল রাতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন নোমান আল মাহমুদ এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ, চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ তৌহিদুল ইসলাম, চউকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন