ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকায় অবস্থিত পশ্চিমা মিশনগুলো বিবৃতি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বলেই তারা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পর্কে (বিবৃতি) জানি না। নিউইয়র্কে যখন তখন লোক মেরে ফেলা হয়, তখন তারা স্টেটমেন্ট দেয় কখনো? জাতিসংঘ কখনো বলেছে আমেরিকায় লোক মরে কেন? চলতি বছরের জানুয়ারিতে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, একটা বাঙালি ছেলে মরে গেল। এতদিন হলো জাতিসংঘ বলেনি তদন্ত কত দূর এগিয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরাও দলবেঁধে কোনো বিবৃতি দেননি। গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মোমেন বলেন, আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না (পশ্চিমা দূতদের)? প্রতিদিন লোক মারা যায়, তখন তারা কোনো স্টেটমেন্ট দেয় না। আর বাংলাদেশকে মগের মুল্লুক পেয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার তীব্র নিন্দা জানায় ঢাকার পশ্চিমা মিশনগুলো। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন। এ ছাড়া ঘটনার পরের দিন উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। এর আগে গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার স্থান নেই। এ ছাড়া নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
মন্তব্য করুন