আসিফ পিনন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৫ এএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বজনের কান্না

শেষ সম্বল দিয়ে লড়াইয়ে ইমরান

শেষ সম্বল দিয়ে লড়াইয়ে ইমরান

বয়স তার ২১ ছুঁইছুঁই। এই সময়ে মাদ্রাসায় পড়ালেখা আর বন্ধুদের নিয়ে দিন কাটানোর কথা ছিল ওই তরুণের। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এখন তার দিন কাটছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। নেই চিকিৎসার টাকা, নেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার নিশ্চয়তা। এক অনিশ্চিত দোলাচলে দুলছে মো. ইমরান নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর জীবন।

গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বারইহাট বাজারে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ইমরান। হঠাৎ মিছিলটি বাঁশখালীর চাম্বল বাজার এলাকায় পৌঁছলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বৃষ্টির মতো ছুড়তে থাকে গুলি। একে একে তিনটি গুলি (ছররা) এসে লাগে ইমরানের পেটে। তারপর জ্ঞান হারান ইমরান। সবশেষ চমেক হাসপাতালে বিছানায় নিজেকে খুঁজে পান। এরপর ৯ দিন ধরে চমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ইমরান। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে হলেও চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। তবু একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে শেষ সম্বল পুঁজি করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরানের মা রাহেলা বেগম।

ইমরানের পরিবারের সদস্যরা জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একটি স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র ইমরান। ছয় মাস আগে হারান বাবাকে। ইমরানের বাবা পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রাহেলা ইমরানকে নিয়েই থাকতেন বাঁশখালীতে। বাঁশখালী তাদের একটি ভিটেবাড়ি রয়েছে। ধারদেনা করে কোনোমতে চলছিল মা-ছেলের জীবন। কিন্তু ইমরান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাহেলার দুই চোখে নেমে এসেছে অনিমেষ আঁধার। ধারদেনা করে এরই মধ্যে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছেন তারা।

রাহেলা কালবেলাকে বলেন, ‘আমার সম্পদ বলতে কিছুই নেই। একটি ভিটেবাড়ি আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলের গুলি লেগেছে। সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। ৯ দিন ধরে হাসপাতালে আছি। পরিচিত অনেকেই সাহায্যে করেছেন। সামনের দিনগুলোতে কী হয় জানি না। জমি বন্ধক দিয়ে হলেও আমার ছেলের চিকিৎসা করাব। একমাত্র ছেলে ছাড়া পৃথিবীতে আমার আর কিছুই নেই।’

শুধু ইমরান নন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন তারা। অনেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও এখনো ২০ জন ভর্তি আছেন চমেক হাসপাতালে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা সব সময় আন্তরিক। চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আন্তরিকভাবে কাজ করতে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অ্যাসিস্টেন্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম গ্রুপ

প্লট দুর্নীতি / শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় আজ

২ জেলায় চাকরি দিচ্ছে এসিআই মটরস

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

০১ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ঠাকুরগাঁওয়ে দোয়া মাহফিল

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি 

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা কারাগারে অপ-চিকিৎসার ফল : মির্জা আব্বাস

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিজিএমইএ’র উদ্যোগে দোয়া

১০

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া

১১

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জে মাসুদুজ্জামানের উদ্যোগে দোয়া 

১২

১৩ জনকে বাঁচিয়ে পানিতে তলিয়ে গেলেন হাসান, শেষ ফোনকলে ছিল মাকে দেখার ইচ্ছা

১৩

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া চাইলেন ইশরাক

১৪

‘মা-ভাই-বোনকে প্লট দিতে খালা হাসিনাকে চাপ দেন টিউলিপ’

১৫

প্লট দুর্নীতি / শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার

১৬

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন সোমবার

১৭

বিএমইউ ‘ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১৮

জাতির ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি : ব্যারিস্টার অসীম

১৯

ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন

২০
X