রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেওয়ার কথা বলে আনিকা খাতুন (৮) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার এক দিন পর গতকাল সোমবার সকালে নগরীর ছোট বনগ্রাম খোরশেদের মোড় এলাকার এক পুকুর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাটোর থেকে অভিযুক্ত যুবক মো. পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত আনিকা নগরীর রোড নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে। আর অভিযুক্ত যুবক পলাশ নগরীর বড় বনগ্রাম ভাড়ালিপাড়া মহল্লার মো. শাহিনের ছেলে। ওই এলাকার একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী পলাশ। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে আনিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে পলাশ। ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে নাটোর পালিয়ে যায়।
নগর পুলিশের শাহমখদুম জোনের উপপুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে আনিকাকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে পলাশ। এরপর তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। রাতে মরদেহ পুকুরে ফেলে নাটোরে পালিয়ে যায় পলাশ।
তিনি আরও জানান, আনিকার খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এলাকার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে স্বজনরা দেখতে পান পলাশ ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সূত্র ধরে গত রোববার বিকেলে আনিকার বাবা আজিম উদ্দিন পলাশের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে গতকাল নাটোর থেকে পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় আনিকার মরদেহ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন