মহাখালীর সাততলা বস্তি এলাকায় ভোটের প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আজ ভোটারদের কাছে যেতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে এই বিশ্বাস হারায়ে গেছে।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হিরো আলম বলেন, মহাখালী সাততলা বস্তিতে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী বস্তির গেটে দাঁড়িয়ে বলল, তোমরা ঢুকতে পারবে না। আমরা আরাফাত ভাইয়ের ভোট করব। এরপর আমরা যখন ঢুকতে চাইলাম, তখন মহিলারা আমাদের গায়ে হাত তুলল। একজন কর্মী এখন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
স্বতন্ত্র এ প্রার্থী আরও বলেন, তারা ইট মেরেছে, জুতা মেরেছে, গায়ে হাত তুলেছে। তারা বোঝাতে চাইছে যে, নৌকা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেবে না। এখনোই যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভোটের দিন ডাইরেক্ট বলবে নৌকা ছাড়া কোনো ভোট হবে না। ডাইরেক্ট নৌকায় সিল মারবে। আজ ভোটারদের কাছে যেতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে এই বিশ্বাস হারায়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বতন্ত্র এ প্রার্থী বলেন, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা জানের নিরাপত্তা দেখতেছি না। আমি না হয় আমার জানের মায়া করলাম না। কিন্তু আজ আমার একটা কর্মী হাসপাতালে। আমি তো চাই না হিরো আলমের জন্য কোনো মায়ের বুক খালি হোক। আপনারা জানেন, এ নির্বাচন করে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আশায়। তারা ক্ষমতায় ঠিকই আছে, কিন্তু মা তার সন্তানকে ফিরে পায়নি। এরকম ঘটনা যদি হয়, আমার কর্মী যদি মারা যায়, তাহলে কী হবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কর্তৃপক্ষকে দেব। তারা যা নির্দেশনা দেবেন তাই হবে।
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হবে ১৭ জুলাই। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়।
মন্তব্য করুন