শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০৩:০৭ এএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রত্নতাত্বিক স্থাপনা

অযত্নে শ্যামসুন্দর মঠ-মন্দির

অযত্নে শ্যামসুন্দর মঠ-মন্দির

দেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান শ্যামসুন্দর মন্দির। এটি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে তাই একে সোনাবাড়িয়া মঠ বা মঠবাড়ি বলা হয়; কিন্তু অযত্ন, অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে এই মঠ-মন্দিরটি।

সাতক্ষীরা জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে সোনাবাড়িয়া গ্রাম। সীমান্তবর্তী এই গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা পুরাকীর্তির নিদর্শন। এরই একটি হলো প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ৬০ ফুট উঁচু টেরাকোটা ফলক খচিত পিরামিড আকৃতির এই মঠ-মন্দিরটি। জরাজীর্ণ ও ভগ্ন প্রায় এই প্রাচীন মঠ-মন্দিরটি সংরক্ষণের জন্য ২০১২ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত সংস্কার করা না গেলে এটি বিনষ্ট হয়ে যাবে।

জানা যায়, মঠ-মন্দিরটি ১৭৬৭ খ্রিষ্টাব্দে জনৈক হরিরাম দাশ (মতান্তরে দুর্গাপ্রিয় দাশ) নির্মাণ করেছিলেন। এর সবচেয়ে বড় অংশটি হচ্ছে তিনতলা বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দির। এটিই শ্যামসুন্দর মন্দির নামে পরিচিত। এর সঙ্গে রয়েছে দুর্গা মন্দির ও শিব মন্দির। মন্দিরগুলোর দক্ষিণে রয়েছে একটি দীঘি।

মন্দিরের নিচের তলায় চারটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগের চারপাশে রয়েছে ঘূর্ণায়মান টানা অলিন্দ। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে একটি মণ্ডপ। তৃতীয় ভাগের পশ্চিম পাশের কোঠা এবং মাঝের কোঠাটির উত্তরে একটি করে প্রকোষ্ঠ রয়েছে; কিন্তু পূর্বাংশের কোঠার পেছনে রয়েছে একটি অলিন্দ, যেখানে দ্বিতল ভবনে

ওঠার সিঁড়ি রয়েছে।

দোতালায় রয়েছে, একটি দক্ষিণমুখী কোঠা। এর দক্ষিণ দিকের মধ্যের খিলানটির ওপর রয়েছে একটি পোড়া মাটির ফলক। প্রত্যেক তলার ছাদপ্রান্ত ধনুকের মতো বাঁকা। এগুলোর ছাদের ওপর ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে ঊর্ধ্বমুখী গম্বুজ রয়েছে। আর মাঝখানে রয়েছে ‘নবরত্ন স্মৃতি মন্দির’। নবরত্ন বা শ্যামসুন্দর মঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে আরও একটি দক্ষিণমুখী মন্দির আছে। এটি ‘দুর্গা মন্দির’ নামে পরিচিত। দক্ষিণে ‘জমির বিশ্বাসের পুকুর’ নামে যে জলাশয়টি আছে তার পাকাঘাটে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে অন্নপূর্ণা মন্দিরের ইটের মিল পাওয়া যায়। এ কারণে ধারণা করা হয়, পুকুরটি সেই সময়ের।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের এমপি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এই মঠ-মন্দিরটির সংস্কার ও সংরক্ষণ প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তীর মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা সংস্কার ও সংরক্ষণ করা গেলে এটি হতে পারে দর্শনীয় স্থান ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাতারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে মধ্যরাতে

কৃষকের ১২ হাজার তরমুজ চারা নষ্ট করল দুর্বৃত্তরা

বন্ধুত্বের টানে যশোরে কোরিয়ান নাগরিক সিমকো 

হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টায় জামিন পেলেন ম্যাক্স অভি

হাসনাত-সাদিকসহ অক্সফোর্ড ইউনিয়নে আমন্ত্রণ পেলেন যারা

গতি বাড়াতেই বিচ্ছিন্ন হয় বগি, শব্দ পেয়ে ট্রেন থামালেন চালক

দুই মাসের জন্য ছিটকে গেলেন রিয়াল তারকা

নিজ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় যা বললেন আলোচিত ফয়জুল হক

জনস্বাস্থ্য পেশার সম্ভাবনা নিয়ে আইএসইউতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সেমিনার 

সিনেমার কায়দায় প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল

১০

আজও কমলো স্বর্ণ ও রুপার দাম

১১

চমকে দিলেন ফারিণ

১২

সাগরের ৩৯২ মিটার গভীরে কী বানাচ্ছে নরওয়ে

১৩

সাভারে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া

১৪

রুমাল পেতে বাসের সিট দখল, সরিয়ে অপরজন বসতেই লঙ্কাকাণ্ড

১৫

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত

১৬

কনার রহস্যজনক পোস্ট

১৭

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম শতকের দেখা পেলেন রুট

১৮

পটুয়াখালী-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শহীদুল আলম

১৯

আইজিপিকে সরাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

২০
X