সিলেটে আবার দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমের মাঝে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে বিভাগের প্রায় ২২ লাখ গ্রাহক। কম উৎপাদন ও সরবরাহের ঘাটতি থাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির এমন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির। তিনি জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত শেষে হঠাৎ করে গরম পড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় গত বুধবার সিলেটে লোডশেডিং ছিল ৩১ থেকে ৩৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, দুদিন ধরে দিনে ও রাতে অসহনীয় লোডশেডিং দেখা যাচ্ছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। সিলেট বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র সরকার জানান, বিতরণ
বিভাগ-৩-এর গতকালের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৫ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১৪ মেগাওয়াট। যার কারণে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হয়েছে। ফলে জগন্নাথপুরসহ পুরো দক্ষিণ সুরমার ৭২ হাজার গ্রাহক কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। দুর্ভোগ লাঘবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের সময় আলোচনায় উঠে আসে লোডশেডিং প্রসঙ্গ। আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী (বর্তমানে নির্বাচিত) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সিসিক নির্বাচন পর্যন্ত সিলেটে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও নির্বাচনের পর ফের লোডশেডিংয়ে ফেরে সিলেট।
মন্তব্য করুন