গত ৫ আগস্ট ছিল ‘ববিতা দিবস’। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডালাস’-এ দিনটি উদযাপন করা হয়। যেহেতু গত বছর ডালাসেই দিনটির যাত্রা শুরু করেন ডালাসের সিটি মেয়র। তাই দিনটি শুরুর এক বছরপূর্তি উপলক্ষে ডালাসেই দিনটি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না বিধায় ইচ্ছা থাকলেও ববিতা ‘ববিতা দিবস’-এ ডালাসে যেতে পারেননি। আবার এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা হওয়ায় এবারের জন্মদিনের আগে তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছেও যেতে পারেননি তিনি। তবে এবার বলা যায় পুরোপুরি সুস্থ হয়েই ববিতা কানাডায় চলে গেলেন।
গত ৯ আগস্ট রাতে ববিতা কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। যাওবার আগে ববিতা বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। ছেলের কাছে যাওয়ার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। তাই কানাডার উদ্দেশে রওনা হলাম। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক হোক, নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আবার দেশে শান্তি ফিরে আসুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক—এই দোয়া করি। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। যখন আমি আমার অভিনয় জীবনের শুরুতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে হেঁটেছি, তখন একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব অনুভব করেছি। এখনো প্রতিটি মুহূর্তে একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। সেই আমার গর্বের বাংলাদেশ সবসময় ভালো থাকুক, এখানকার মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটাই চাই সবসময়।’
ববিতা বাংলাদেশের একজন সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং প্রযোজক। ববিতা ১৯৭৩ সালে ২৩তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন বিয়ার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। ববিতা ৩৫০-এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন।