নায়িকা হিসেবে জীবন যতই সমালোচিত হোক, মা হিসেবে যেন ততটাই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন তিনি। মাতৃত্ব দিয়ে নিন্দুকদের মনও জয় করেছেন পরীমণি। শুক্রবার আরও একবার সবাইকে আবেগে ভাসালেন এই নায়িকা। এদিন রাতে ছেলের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি পাঠ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যর প্রথম জন্মদিন (১০ আগস্ট) উপলক্ষে এই আবেগঘন চিঠি লিখেছেন পরী। চিঠির কথাগুলোয় যে পাথর হৃদয়ও কেঁপে উঠেছে, সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় মন্তব্যের ঘরে। প্রায় সব মন্তব্যেই ভূয়সী প্রশংসা আর আবেগপ্রবণ অনুভূতির বিষয় উঠে এসেছে।
একমাত্র ছেলে রাজ্যর জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজন করেছেন নায়িকা। শোবিজের তারকাদের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছে রাজ্য (নতুন নাম ‘পদ্ম’)। তবে সবচেয়ে বড় উপহারটি যেন মা পরীই দিলেন। ভিডিও আকারে একটি খোলা চিঠি। যার দৈর্ঘ্য ৪ মিনিট ১৩ সেকেন্ড।
কোমল স্বরে মনের সবটুকু আবেগ ঢেলে চিঠিতে পরী বললেন, ‘আমার বাজান, বড় হয়ে যখন তুমি এটা দেখবে, তখন বুঝবে, গলায় আটকে থাকা কান্না গিলে গিলে মা তোমাকে বলেছিল—এই সেই আনন্দের দিন, যে দিন তুমি আমার বুকে এলে। ছোট্ট দুটো হাত ধরে কী মনে হচ্ছিল জানো? পরী সত্যিকারের দুটো ডানা পেলো। কী আনন্দ কী আনন্দ! বড় হয়ে লাল পরী, নীল পরী, হাজার পরীর ভিড়ে শুধু জানবে, তুমি এই মা পরীর দুটো ডানা হয়ে জন্মেছিলে। আমি তোমার বুকে কান পেতে শুনি—মা; গায়ে গা ঘেঁষে, বুকে মিশে থেকে, ঘুমের ঘোরে কিংবা জেগে থেকে, তোমার চোখের দৃষ্টিজুড়ে যেন শুধু আমি; মা আর মা। তোমার জগৎজুড়ে যেন একটাই শব্দ—মা। আর এই মা-টা আমি! আহা!’
আরও বলেন, ‘ভাবতে ভাবতে কখন যে আমাদের এক বছর হয়ে গেল। তোমার গায়ের ঘ্রাণে বেঁচে আছি আমি। তোমার কান্নায়, হাসিতে, খেলায় কী দারুণ বেঁচে আছি আমি। দুঃখ আমাকে আর ছুঁতেই পারে না।’
চিঠিটি ফেসবুকে শেয়ার করার মাত্র ১৪ ঘণ্টায় এর ভিউ ছাড়িয়েছে ২২ লাখ। মন্তব্য পড়েছে ২৩ হাজার, যার সিংহভাগই ইতিবাচক, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অক্টোবরে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ঘর বাঁধেন পরীমণি। গত বছরের ১০ আগস্ট তার কোলজুড়ে আসে রাজ্য। রাজের সঙ্গে সম্প্রতি দূরত্ব বাড়ায় আপাতত ছেলেকে ঘিরেই নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনছেন পরী।
মন্তব্য করুন