বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান ২০১৬ সালে ‘দঙ্গল’ দিয়ে হিন্দি সিনেমার সব রেকর্ড নিজের করে নেন। দর্শক, সমালোচক থেকে শুরু করে সব শ্রেণির সিনেপ্রেমীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল সিনেমাটি। এরপরই আমিরের ক্যারিয়ারে নেমে আসে ভাটার টান। বক্স অফিসে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় থাগস অব হিন্দুস্তান ও লাল সিং চাড্ডা। হতাশ আমির সাময়িক বিরতি নেন সিনেমা থেকে। সোনালি সময়কে ফেরাতে আমির খান ২০০৭ সালের তার সাড়া জাগানো সিনেমা ‘তারে জমিন পার’-এর সিক্যুয়াল নির্মাণে হাত দেন। অবশেষে নানা বিতর্ক আর বাধাবিপত্তি পেরিয়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘সিতারে জমিন পার’। এতে মুখ্য ভূমিকায় আমিরের সঙ্গে দেখা যাবে জেনেলিয়া দেশমুখ ও দর্শিল সাফারিকে। আর এস প্রসন্নের পরিচালনায় সিনেমাটি পর্দায় আসবে ২০ জুন। এরই মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে আমিরের ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে।
আমির খান বরাবরই সিনেমা নির্মাণে একটু খুতখুতে। তার এ সিনেমাটি মূলত স্পোর্টস ড্রামা হলেও এতে হিউমার ও ড্রামার নিখুঁত মিশ্রণ থাকবে। যদিও সম্প্রতি আমিরের ভাষ্যে, সিনেমায় তিনি মুখ্য চরিত্রে থাকছেন না, একটি ছোট চরিত্রে থাকবেন। গল্প পছন্দ হয়েছে বলেই তিনি ‘সিতারে জমিন পার’-এ অভিনয় করতে রাজি হন। তবে যে ভূমিকাতেই থাকুন না কেন, চিত্রনাট্য আর ট্রেলার-টিজারে তিনি ঠিকই দর্শকদের জন্য টুইস্ট রেখে দেন।
আমির খানকে ‘তারে জমিন পার’-এ ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত দশ বছর বয়সী এক বালকের জীবনের বাঁক বদলে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছিল। সেই গল্পের ভিন্ন আঙ্গিকেই তৈরি হয়েছে ‘সিতারে জমিন পার’। এতে ডাউন সিনড্রোমের শিকার মানুষ কীভাবে দিনযাপন করে আর নিজেদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে—তাই দেখানো হয়েছে। আগের সিনেমায় ঈশানকে সাহায্য করেছিল ‘নিকুম্ভ স্যার’, এবার ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাবে।
২০২২ সালের পর আবারও বড় পর্দায় আমির খান কেমন করবেন—সেটা নিয়েই কানাঘুষা সিনেপাড়ায়। সিনেমাটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতভেদ দেখা দিয়েছে। ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে চলচ্চিত্র মহলে প্রবল উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে, আর দর্শকদের উন্মাদনাও তুঙ্গে। আবার নানা বিতর্কও শোনা গেছে। যা-ই হোক, ছবিতে আমির খান ‘গুলশন’ নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন চরিত্র ও নতুন গল্প নিয়েই হাজির হচ্ছেন। দর্শকের উন্মাদনা আর আগ্রহ কতটুকু মেটাতে পারবেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট, তিনি কি তার হৃত গৌরব ফেরাতে পারবেন—দেখা যাবে পর্দায় আসার পরই।
মন্তব্য করুন