কলকাতার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই টালিগঞ্জে কাজ করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে। বাংলাদেশের সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। তবে এখন আর সেভাবে অভিনয়ে দেখা যায় না এ অভিনেত্রীকে। ব্যস্ত আছেন সামাজিক কার্যক্রম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে। গল্প পছন্দ হলে মাঝেমধ্যে অভিনয়ে দেখা যায় তাকে।
সম্প্রতি কালবেলার সঙ্গে কথা হয় তার। কলকাতা থেকে মোবাইল ফোনে জানালেন তার কথাগুলো সমাজে আসলে কতটা প্রভাব ফেলে। তার জন্য আগের মতো সবকিছু নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতেও এখন আর সেভাবে মন চায় না বলেও জানান তিনি। শ্রীলেখা সবসময়ই একজন বাস্তববাদী মানুষ। সমাজের অপরাধ, অনিয়ম ও মানুষের অধিকার নিয়ে বরাবরই কথা বলেন এ অভিনেত্রী। তবে এখন আর সেভাবে মন টানে না তাকে। সব কেন তিনি একাই বলবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
শুরুতেই শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি তো অনেক বললাম, এখন নতুন করে আর কী বলব। সমস্যা হচ্ছে আমি কথা বললে আমার বিপরীতে সংবাদ প্রকাশ হয়। মানুষ সমালোচনা করেন। তাই ভাবছি, আমি একা আর কত কথা বলব। অনেক তো বলেছি। আমার নতুন করে আর কিছু বলার নেই। আমি এখন নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যেভাবে শান্তি পাই সেভাবেই থাকব। এবার অন্যরা বলুক। এ ছাড়া আমি চাই যারা চুপ করে আছে সাংবাদিকরা তাদের ধরুক। তাদের দিয়ে কথা বলাক। আমি চুপ হয়ে গেছি। স্পষ্টবাদী সবাই। এখন তারা বলুক।’
কথাগুলো তিনি ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে বলছেন। কারণ নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণদের উদ্দেশ করে পরামর্শ দেন এ অভিনেত্রী। এ সময় বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, বাংলাদেশ তার বাবার দেশ। এখানের মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তাই সুযোগ হলেই তিনি ফিরে আসেন এখানে।