মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৪ এএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পাহাড়িকন্যা খাগড়াছড়ি অতিথি বরণে প্রস্তুত

পাহাড়িকন্যা খাগড়াছড়ি অতিথি বরণে প্রস্তুত

রমজানে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশির বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। অন্যবারের তুলনায় এবার ঈদে মিলছে লম্বা ছুটি। এ ছুটিতে বিনোদনের আশায় পাহাড়ে ছুটবে হাজারো পর্যটক। এক মাসের খরা কাটিয়ে পর্যটক সমাগমের আশায় আছে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলো। খাত সংশ্লিষ্টদের আশা, পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হবে জেলা শহরের হোটেল-মোটেলগুলো।

মেঘের রাজ্য সাজেককেন্দ্রিক পর্যটকের ভিড়ে বছরজুড়েই মুখর থাকে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। দীর্ঘ এক মাস রমজানের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম থাকলেও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পর্যটকদের চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, পাহাড়, ঝরনা, উপত্যকা, বন আর ঝিরির টানে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে। প্রতিদিনই সারা দেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া, হর্টিকালচার সেন্টার, ঝুলন্ত ব্রিজ, শিলাছড়ি, জলপাহাড়, মায়াবিনী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।

খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, পর্যটন অর্থনীতির বিকাশের জন্য আলুটিলা এলাকায় বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বিনিয়োগে প্রস্তুত আছি। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরা তিন থেকে চার ঘণ্টা ভ্রমণ করলেই সব স্পটে বেড়ানো শেষ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এখানে ঝরনাকেন্দ্রিক আরও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। সেখানে যেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আলুটিলায় বেড়াতে আসা পর্যটক সাফাত জামান বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। তবে রিছাং ঝরনা ছাড়া অন্য ঝরনাগুলোতে যাতায়াতের সে ধরনের কোনো সুবিধা নেই। পর্যটনকেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ ভালো হওয়ায় খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য বলেও মনে করেন এ পর্যটক। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আমরা ভালো সাড়া পাব বলে আশা করছি। ঈদের দিন থেকেই পর্যটকদের সমাগম বাড়বে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে।

খাগড়াছড়িতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করে জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে আমাদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া আছে। কোনো পর্যটক সমস্যায় পড়লে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করব। এ ছাড়া পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই শহীদ আবুল হাসান স্বজনের কবর জিয়ারত মাসুদুজ্জামানের

যুবদলের ২ নেতাকে বহিষ্কার, একজনকে শোকজ

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার

যে কারণে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ হবে

স্বাস্থ্যসেবায় নারী চিকিৎসকদের অগ্রগতির বাধা চিহ্নিত করতে চমেকে সেমিনার

রাতে হঠাৎ আগুন, দশটি বসতঘর পুড়ে ছাই

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

২৩ বছর ছদ্মবেশে থেকেও রক্ষা পেলেন না হাফিজ

ঢাকায় নতুন হুন্ডাই ক্রেটা গ্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

১০

ফের রিমান্ডের খবরে নাসার নজরুল বললেন ‘হার্ট অ্যাটাক করব’

১১

প্রাণিসম্পদ অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি

১২

স্ত্রীর মরদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রাখে স্বামী, অতঃপর...

১৩

ঘরে মাকড়সার জাল থাকলে কি অভাব-অনটন দেখা দেয়?

১৪

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের বিষয়ে সুখবর দিলেন গভর্নর

১৫

কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলার জন্মদিনে যা বললেন ঋতুপর্ণা

১৬

সিরাজগঞ্জ চেম্বার নির্বাচনে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয়

১৭

এনসিপি নেতাকে অপসারণ দাবিতে দলীয় নেতাদের পদত্যাগের হুঁশিয়ারি

১৮

সীমান্ত উত্তেজনা, কঠোর হুঁশিয়ারি থাই প্রধানমন্ত্রীর

১৯

‘বিগ বস ১৯’ জিতে কত টাকা পেলেন গৌরব!

২০
X