কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন

সন্‌জীদা খাতুন। ছবি : সংগৃহীত
সন্‌জীদা খাতুন। ছবি : সংগৃহীত

ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি সংস্কৃতিকজন, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ ড. সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৩.১০ মিনিটে রাজধানী একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শুদ্ধ সংগীতের চর্চার পাশাপাশি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন সন্‌জীদা খাতুন, তখন সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে।

সন্‌জীদা খাতুনকে জীবনের প্রায় শুরু থেকেই দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায়। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন। শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দেন। তার প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তার কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লিগীতি।

রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্‌জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সন্‌জীদা খাতুন বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন সন্‌জীদা খাতুন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।

এ ছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি দেয়। ২০১৯ সালে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পান। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ববি ছাত্রদলের তিনটি পদে নির্বাচন শনিবার, লড়বেন ১০ প্রার্থী

মৃত্যুর ফেরেশতা কি প্রাণীদেরও রুহ কবজ করেন? জানুন

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ : সালাউদ্দিন আহমদ

শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান, সূচি ঘোষণা

ঢাকায় স্থগিত পাকিস্তানি ব্যান্ডের কনসার্ট

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

বিপিএল ২০২৬: কোন দলের অধিনায়ক কে, যা জানা গেল

বেলজিয়াম / যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের অগ্রগতির কথা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মানবিক সংকটে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাই জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০

গাজীপুর মহানগর পুলিশে বড় রদবদল

১১

নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক জার্মানি

১২

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৩

বিলাসবহুল বাংলোতে রণবীর-আলিয়ার সুখের সংসার

১৪

খুবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৮ ডিসেম্বর, আসনপ্রতি লড়বেন ৯৭ জন

১৫

বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

১৬

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কী, খরচ কেমন হতে পারে?

১৭

ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র : জেনে নিন কোন পটে কারা

১৮

শাজাহান খানের মেয়ে ঐশীর নামে দুদকের মামলা

১৯

জাবিতে চার আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন

২০
X