কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে’

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছ, আগের সরকারের আমলে কিছু প্রবৃদ্ধি হলেও, তা যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, আসলে পুরো বিষয়টি তেমন ছিল না। খসড়ায় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কৌশলগুলোরও সমালোচনা করা হয়েছে।

রোববার (০১ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, পুঁজি-নিবিড় ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) এবং ভারী শিল্প (যেমন ইস্পাত, সিমেন্ট) উন্নয়নের নীতি এবং ‘উন্নয়নের মানদণ্ড’ হিসেবে পরিচিত বড় বড় প্রকল্পগুলোর (যেমন : জ্বালানি ও পরিবহন খাতে মেগা প্রকল্প) নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং কৃষক অথবা শহরগুলোকে বাসযোগ্য করে তোলার বা সাধারণভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর বিনিয়োগের গুরুত্বকে পাশ কাটিয়ে গেছে।

এতে বলা হয়েছে, কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার দৃঢ় সংকল্পের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার এসব উন্নয়ন কৌশলের ভবিষ্যৎ পরিণাম সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেনি। তাই আগের সরকার, সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীমহল ও শীর্ষ আমলারা গণতান্ত্রিক জবাবদিহিকে পরোক্ষভাবে উপেক্ষা করেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিগত সরকার ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার কথা বলেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এসবকে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অথচ দেশে বৈষম্য বেড়েছে। ৪ থেকে ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে এই উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশে যে উন্নয়ন দেখানো হয়েছে সেখানেও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কমে গেছে। রেমিট্যান্স আর গার্মেন্টস দিয়ে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, মজুরি কাঠামো নিম্ন আয়ের আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনীয়। উচ্চ আয়ের দেশে উপনীত হওয়ার জন্য যে হাইটেক শিল্প প্রয়োজন সেগুলোর কিছুই হয়নি। তাছাড়া বাংলাদেশের যে কর কাঠামো সেটিও আফ্রিকার দুর্বল দেশগুলোর ন্যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১০

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১১

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১২

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৩

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৪

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৫

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১৬

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১৭

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১৮

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৯

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

২০
X