

বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় স্বর্ণের মোট চাহিদা বেড়েছে ৩ শতাংশ—এমন তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) লেনদেনসহ মোট স্বর্ণের চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৩ টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪৬ বিলিয়ন ডলার।
ডব্লিউজিসির মতে, এই প্রবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিনিয়োগ খাতে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি, যা তৃতীয় প্রান্তিকে দাঁড়িয়েছে ৫৩৭ টনে। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন ডলারের দুর্বলতাই এই বৃদ্ধিকে সহায়তা করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে মোট স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে ১ শতাংশ, যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭১৭ টনে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৮৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও স্বর্ণ ক্রয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে তারা মোট ২২০ টন স্বর্ণ ক্রয় করেছে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ২৮ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
প্রথম নয় মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মোট স্বর্ণ ক্রয় ছিল ৬৩৪ টন। যদিও এটি গত তিন বছরের তুলনায় কিছুটা কম, তবে ২০২২ সালের আগের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
অন্যদিকে, গয়না খাতে স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা ১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ডব্লিউজিসি জানায়, প্রযুক্তি খাতেও স্বর্ণের চাহিদা সামান্য কমেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে চাহিদা বাড়লেও, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ও স্বর্ণের উচ্চমূল্য এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন