

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি ও শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন।
এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে আজ তারেক রহমানের আরও কর্মসূচি রয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আজ ভোটার তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি।
এ দিন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া সংক্রান্ত সব কাজের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজও সারবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শনিবার বেলা ১১টায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ‘শহীদ’ শরিফ ওসমান হাদির করব জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন। এরপর এনআইডি রেজিস্ট্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজে নির্বাচন কমিশনে যাবেন। তবে তারেক রহমান কোথায় ভোটার হবেন, দলের পক্ষ থেকে এখনো তা জানানো হয়নি। অবশ্য দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি ঢাকা থেকে ভোটার হতে পারেন।
নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার তালিকা আইনে বলা আছে, ইসি যে কোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্য যে কোনো ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হয়। তারেক রহমান কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সপরিবারে লন্ডন যান। বিদেশে থাকায় তখন ভোটার তালিকায় তিনি অন্তর্ভুক্ত হননি। এর পরপর আওয়ামী লীগের শাসনকালে তিনি দেশে আসেননি, ভোটারও হননি।
বিএনপির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, তারেক রহমান পৈতৃক এলাকা বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তার পক্ষে স্থানীয় নেতারা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছেন। তবে তিনি আরও কোনো আসন থেকে কিংবা কয়টি আসন থেকে নির্বাচন করবেন, দল থেকে সেটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আলোচনা আছে, ঢাকার একটি আসন থেকেও তারেক রহমান ভোট করতে পারেন। সেটি হতে পারে গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন, যেটি এখনো ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের জন্য বিএনপি এই আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ দিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী হতে পারবেন না- এ মর্মে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি পরিপত্র জারি করেছে।
মন্তব্য করুন