আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য দেশের ১৫টি ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়কদের মাধ্যমে এই নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক আছে আটটি ব্যাংকে। এগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া সাতটি ব্যাংকে সমন্বয়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
মূলত ঋণ নিয়ে অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ক নিয়োগ দিয়েছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, গভর্নর পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়কদের এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে বলেছেন।
এ সময় বেসিক ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেজবাউল হক বলেন, গভর্নর ওই সব ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট ও পরিচালনা পর্ষদকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর কোনো সহানুভূতি দেখাবে না।
২০১৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৭ সালের শেষে ব্যাংকটির মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। এরপর চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে হয় ১৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ শেষে যা ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অবনতি মোকাবিলায় পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়কদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
মন্তব্য করুন