বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি। এসব পরামর্শের মধ্যে প্রধান দুটি পরামর্শ হলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি দৃঢ় করতে হবে এবং আরও উন্নত ও নমনীয় বিনিময় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে অবশ্যই তার বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছেন, ‘চলতি মাসে আমরা বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা এবং আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ১৩১ কোটি ডলার পাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের রেমিট্যান্সের প্রবাহও বর্তমানে বেশ ভালো। এখন আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আইএমএফও সেই পরামর্শই দিয়েছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮ শতাংশ। আইএমএফের নির্দেশনাকে আমলে নিয়ে ইতোমধ্যেই আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এই হারকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির আয়তন ৪১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার এবং এটি এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি এবং তার জের কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি প্রবাহ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হয়েছে। তবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তার গতিপথ হারায়নি বলে প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
গত জানুয়ারি মাসে ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় দিয়েছিল আইএমএফ।
মন্তব্য করুন