

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ময়মনসিংহে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রেখেছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে ময়মনসিংহের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহগামী তিস্তা ট্রেন আটকে রেখে আন্দোলন করছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ও রেল অবরোধ চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের জন্য যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই চাকরির ক্ষেত্রেই আবার নতুন বৈষম্যের উদ্ভব হয়েছে। পূর্বের যেসব বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হতো, সেখানে এই বছর শুধু নতুন ব্যাচের জন্য মাত্র ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। পিএসসিকে এটি মানতেই হবে। যে পর্যন্ত পিএসসি এই সময় পরিবর্তন না করছে, সেই পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
আরেক শিক্ষার্থী মেহরাজ হাসান রাফি বলেন, শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম প্রস্তুতির সময় দিতে হবে, যাতে তারা ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে। পিএসসি যদি আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ চলমান রাখে, তাহলে আমাদের অবরোধও চলমান থাকবে।
এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় রেল অবরোধের উদ্দেশ্যে রেললাইনে অবস্থান নেন। এর ফলে ময়মনসিংহের রুটের তিনটি ট্রেন সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
ফলে ময়মনসিংহের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। অবরুদ্ধ হওয়া তিনটি ট্রেন হলো ঢাকাগামী তিস্তা ও মহুয়া এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ গামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। পরে রাত ৮টা ২০ এর দিকে বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং অবরোধ তুলে নেন।
মন্তব্য করুন