দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পের ক্যাপটিভ পাওয়ারে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম আবারও বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩ এর ধারা ৩৪ক তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য মে, ২০২৪ বিল মাস হতে শুধু বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য যথাক্রমে ১৪.৭৫ টাকা/ঘনমিটার এবং ৩০.৭৫ টাকা/ঘনমিটার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ০.৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ১৫.৫০ টাকা/ঘনমিটার এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ৩১.৫০ টাকা/ঘনমিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। তন্মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮, গৃহস্থালিতে ১০, সার উৎপাদনে ৭, সিএনজিতে ৪ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে এক শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০.৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভর্তুকি কমাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য ও সেবায় দাম বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সময় সমঝোতা চুক্তিতে এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও আদায় করেছে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন