আসন্ন বর্ষায় মশার উপদ্রব কমাতে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। তিনি বলেন, মশক নিধনে শুধু সিটি করপোরেশন নয়, প্রয়োজন নগরবাসীর সহযোগিতা।
শনিবার (১০ মে) সকালে পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লা এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানে এ কথা জানান তিনি।
রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করা ও ডেঙ্গু মৌসুমে যাতে প্রকোপ না বাড়ে সে কারণেই এ ধরনের বিশেষ অভিযান। পরিচ্ছন্ন সুন্দর ঢাকা উপহার দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্য ডিএসসিসি নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে ও প্রতিটি জনগণকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। শহরের প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে, নগর সুন্দর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, লালবাগে অনেক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা ট্যুরিস্ট জোন হিসেবে গড়ে তুলব যেন বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হন। ঢাকায় একটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট হচ্ছে, যেখানে এলাকার ময়লাগুলো ট্রিট করা হবে। যার ফলে কোনো ধরনের দুর্গন্ধ থাকবে না।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ঢাকার জন্মস্থান পুরান ঢাকা, এখান থেকেই ঢাকার যাত্রা শুরু হয়। পুরান ঢাকার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সমৃদ্ধ পুরান ঢাকাকে আমরা চাচ্ছি এসব স্থাপনাও নিজস্ব সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে যেন একটি নতুন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে ওঠে। সে লক্ষ্যে পুরান ঢাকার পূর্বের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মৌসুমে এডিস মশা বিস্তার রোধে আগামী জুন মাস থেকে ২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম চলবে। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে আমরা সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি নগরী গড়ে তুলতে পারব। ঢাকাকে সুন্দর ও সবুজ নগরী গড়ে তুলতে আগামী বর্ষার মৌসুমে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সব বিভাগীয় প্রধান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন