ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর সব হাট। দিনরাত ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর হাটগুলো। চলছে দার কষাকষি, দামে মিললেই পছন্দের পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। তবে, থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
হাটে মিলছে নানা জাতের গরু ছাড়াও খাসি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। কোথাও কোথাও দেখা মিলছে উট-দুম্বারও। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় কিছু দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা।
খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ১ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর কেনায় বেশি আগ্রহ ক্রেতারা। তবে বড়ো আকারের গরু-ছাগলের প্রতি আগ্রহ অনেক কম তাদের। দরদাম হলে বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
গাবতলীর পশুর হাটের ইজারাদাররা বলেন, এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো পশুর দাম কিছুটা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় ছোট ও মাঝারিগুলোর দামও তুলনামূলক বেশি।
এদিকে, এবার রাজধানীর ২১ টি স্থানে পশুর হাট বসেছে। এখনো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসছে হাটে।
মন্তব্য করুন