আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানীজুড়ে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের পরপরই শুরু হয় পশু কোরবানির কার্যক্রম। ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঢাকাবাসী সকাল থেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কোরবানি দিচ্ছেন।
গ্যারেজ, রাস্তাঘাট কিংবা হাউজিং এলাকার নির্ধারিত স্থানে- যেখানে সুযোগ মিলেছে, সেখানেই পশু জবাই করা হচ্ছে। সকাল ৭টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরু ও ছাগল জবাইয়ের দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি চলে মাংস কাটা, বণ্টন এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ। চারপাশে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ছোট-বড় সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে ঈদের আনন্দ।
কোরবানির অনুভূতি ভাগ করে নিলেন নগরবাসী
রামপুরার বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কোরবানি দিয়েছি। নামাজ শেষে গরু জবাই করেছি। মাংস ধর্মীয় বিধান মেনে বণ্টন করব। আল্লাহ যেন কবুল করেন।
তিনি আরও বলেন, দুই দিন আগে গরু কিনেছি। গরুটির প্রতি অনেক মায়া জন্মে গেছে। বাড়ির শিশুরাও যত্ন করেছে। এখন আল্লাহর রহমতে সব কাজ ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করতে পারব।
বনশ্রীর বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম হুসাইন বলেন, ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করেছি। কসাইরা এখন মাংস কাটছেন। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু মাংস খাওয়া নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত সিটি করপোরেশন
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ পরিচ্ছন্নকর্মী। এজন্য তাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে খোলা রাখা হয়েছে হটলাইন, সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ।
সহমর্মিতা ও সামাজিক সংহতির প্রতিচ্ছবি
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, কোরবানির মাংস আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দরিদ্র মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিচ্ছে। ঈদের এই দিনে ধর্মীয় আবেগ ছাড়াও রাজধানীর অলিতে-গলিতে ফুটে উঠেছে সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সামাজিক সংহতির চিত্র।
মন্তব্য করুন