

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধের জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট, বাংলামোটর, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, পুলিশ তল্লাশি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনকি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনও সন্দেহ হলে থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকাসহ চার জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে রোববার থেকে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে মাঠে টহল দিচ্ছে বিজিবি।
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন রোববার সেনাসদরে চিঠি পাঠিয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামীকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঘোষণা করবে।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানিয়েছেন, আগামীকাল বেলা ১১টার দিকে রায় ঘোষণা শুরু হতে পারে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ১,৪০০ মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫,০০০ মানুষকে মারাত্মক আহত করার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
মন্তব্য করুন