বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ৬ দিনব্যাপী গণজাগরণের সংগীত উৎসরের তৃতীয় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩য় দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১ম পর্বে রাগিনী দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘ধন্যধান্য পুষ্পভরা’ ও বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশিত হয়েছে। এর পর একক সংগীত ‘আমি খুঁজে বেড়াই’ পরিবেশন করেন জেবুন্নেছা সরকার নিঝুম। একক সংগীত পরিবেশন করেন মো. মতিউর রহমান ‘তুমি রবে নীরবে’, নাসরিন আক্তার পরিবেশন করেন ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’।
একক সংগীত পরিবেশন করেন মো. সম্রাট আকবর, ‘আজও মধুর বাঁশরি বাজে’। হিমাদ্রী বিশ্বাস পরিবেশন করেন ‘জীবনানন্দ হয়ে’। রথিন টিকাদার পরিবেশন করেন ‘কে তুমি তন্দ্রা হরণী’। দেশের গান পরিবেশন করেন নূর-ই-জান্নাত, ‘একটি বাংলাদেশ’। যশোদা রাণী রায় সংগীত পরিবেশন করেন ‘ভালো লাগে’।
এরপর দিলরুবা আক্তারের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জনপ্রিয় সংগীত ‘সাদা সাদা কালা কালা’। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিরাজ শিকদার ‘গুরুগত না হইলে’। একক সংগীত পরিবেশন করেন শারমিন জাহান কেয়া ‘এ এমন পরিচয় (সোলস)’। দিপা মণ্ডল একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘এমন মায়ার কান্দন’, ফারজানা বেগম পরিবেশন করেন ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা। সুবর্ণা রহমান পরিবেশন করেন ‘তরীতে বাসনা থাকে’, নুসরাত জাহান লিলি পরিবেশন করেন ‘এক চোখে হাসন কান্দে’, শিমুল দ্বীপ বিজন পরিবেশন করেন ‘নীলাঞ্জনা নীল নীল চোখে’, শাকিল নাজরিন পরিবেশন করেন ‘তিস্তা পারের-ভাওয়াইয়া’, সৈয়দ মাসুমুর রহমান পরিবেশন করেন ‘বেঁচে আছি কি না মরে গেছি’, বর্ণালী চৌধুরী পরিবেশন করেন ‘ফাল্গুনে আইসাছি নাইওর’। এরপর পরিবেশিত হয় নিলুফার সুলতানার কণ্ঠে চলচ্চিত্রের গান ‘যার ছায়া পড়েছে’। এ ছাড়াও পরিবেশিত হয় দ্বীপ বাপ্পি ও তাসলিমা ইসলামের কণ্ঠে সংগীত।
২য় পর্বে নন্দনমঞ্চের এ আয়োজনে সুরধ্বনি দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘আমার দেশের মতন এমন’ ও চল চল চল’ এবং ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের’ ও ‘বান এসেছে মরা গাঙ্গে’ পরিবেশিত হয়েছে। জাহিদুল ইসলামের কণ্ঠে একক সংগীত ‘ভেবো না গো মা’ পরিবেশিত হয়। শিল্পী চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘মম মধুর মিনতি’; খুকু রানী দাসের কণ্ঠে ‘বিনোদিনী গো’ এবং জুলি শমিলীর কণ্ঠে ‘ওগো মধুমিতা’ সংগীত পরিবেশিত হয়। শহীদুজ্জামান মামুনের কণ্ঠে ‘আমি বৃষ্টির কাছে থেকে’ পরিবেশন করেন।
ফেরদৌস আরা বেগম পরিবেশন করেন নজরুল সংগীত ‘আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু,’ সুনীল সূত্রধর পরিবেশন করেন ‘কে তুমি বসি নদীর কূলে’, মমতাজ রহমান লাবনী পরিবেশন করেন ‘পাথরের পৃথিবীতে কাঁচের হৃদয়’, অনুপম চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘ওগো বিদেশিনী তোমার চেরী’, প্রিয়াংকা হালদার ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’, পরিমল কুমার ‘ আমায় ভাসাইলিরে’ পরিবেশন করেন। এরপর আবারও পুনম মির্জা পরিবেশন করেন আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, পলাশ শীল পরিবেশন করেন ‘কে বলে পাগল’, শিল্পী মো. আব্দুর রউফ পরিবেশন করেন ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’। কাজল মনির কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘করিমানা কাম ছাড়ে না’, মো. খাজা জামান পরিবেশন করেন নীলা তুমি কী চাও না’। সবশেষে পরিবেশিত হয় দলীয় সংগীত ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের’ এবং‘ বান এসেছে মরা গাঙে’।
৩য় দিনের আয়োজনে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন মো. আব্দুল্লাহেল রাফি তালুকদার, অন্তরা রহমান, মো. হীরক সরদার এবং আবিদা রহমান সেতু।
এ ছাড়া বরিশাল জেলায় বিভাগীয় পর্যায়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সকল শিল্পের শিল্পীরা যেন পেশাভিত্তিক শিল্পচর্চা করতে পারে, সেই জায়গাই আমরা পৌঁছে যেতে চাই।
মন্তব্য করুন