ব্যান্ড তারকা এ কে রাতুলের মৃত্যুর পরই শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতজগতে। সংগীত ও চলচ্চিত্র, সব মাধ্যমের তারকাই তাকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়ছে সবার।
রাতুল প্রয়াত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে। তিনি রক ব্যান্ড ‘ওন্ড’র ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। নায়কপুত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম।
একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরার একটি জিমে ব্যায়াম করছিলেন রাতুল। তখন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাৎক্ষণিক উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হয়।
এদিকে লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারের সুপারভাইজার মাসুদ রানা জানিয়েছেন, রাতুলকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি তাকে। হাসপাতাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহ বাসায় নেওয়া হয়েছে তার।
শ্রোতামহলে আলাদা পরিচিতি রয়েছে ব্যান্ড ‘ওন্ড’র। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং এর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ প্রকাশ হয়। আর ২০২১ সালে প্রকাশ হয় ইপি ‘এইটটিন’।
রাতুল অন্য ব্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন। অর্থহীনের ফিনিক্সের ডায়েরি ১-এর সাউন্ডের কাজ করেছেন। ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডেও ছিলেন। তিনি প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের মেজ ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তার আরেক ভাই এ কে সামী একজন ড্রামার।
তার বাবা চিত্রনায়ক জসীম চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ফাইট পরিচালক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। জসীম আশির দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে। যদিও অনেকেই তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশনের পথপ্রদর্শক হিসেবে মনে করেন।
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে মারা যান চিত্রনায়ক জসীম।
মন্তব্য করুন