রাজধানীর বাড্ডায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফেলে দিয়ে অপু ইসলাম (৩৫) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ও একটি স্কুলের শিক্ষকসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাড্ডা সাঁতারকুল উত্তরপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা অপু। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক অপু আগে অটোরিকশার ব্যবসা করতেন। তিনি ৪১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাঁতারকুল শান্তিপাড়া আশরাফ আলী রোডের মাস্টার কমপ্লেক্সের সামনে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুর শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপুর তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে নির্মাণাধীন ভবনটির ৬ষ্ঠ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে লিফটের ফাঁকা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় তাকে।
তারা আরও জানান, খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক রাতেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম কালবেলা অনলাইনকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন ছাত্র অপু নামে ওই ব্যক্তিকে নির্মাণাধীন ৭ম তলা ভবনের ৬ষ্ঠ তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই ঘটনায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ও একটি স্কুলের শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন