বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্বগহিরা এলাকার ১২ মাঝিমাল্লা তিন দিন পর জীবিত ফিরেছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) ভোরে ১০ জনকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, একজনকে ভোলা ও অপরজনকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় পাওয়া গেছে। উদ্ধার জেলেরা শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় পরিবারের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মেদ।
আরও পড়ুন : ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকা ১১ জেলে উদ্ধার
স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার পশ্চিমে বৈরী আবহাওয়ায় ৩টি বোট ডুবে গেলে ২৮ জনকে অন্য একটি ফিশিং বোটে উদ্ধার করা হলেও ১২ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ থাকে। শুক্রবার ভোরে বোটের মাঝি মো. মোক্তার, চালক আখতার হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ইলিয়াছ, মো. ফরিদ, নুর মোহাম্মদ, মো. শাহীন, আরফাত, আরিফ ও ওসমানকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার একটি ফিশিং বোট উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে। অপর জেলে নুরুদ্দিনকে নোয়াখালীর হাতিয়া ও আবদুল আজিজকে ভোলা জেলায় সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
চিকিৎসাধীন বোটের মাঝি মোক্তার তিন দিনের দুর্বিসহ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমরা আবার ফিরে আসব এ কথা কল্পনাও করিনি। বোটডুবির পর আমার বোটে থাকা সরঞ্জাম নিয়ে তিন দিন সাগরে ভেসে ছিলাম, পরে একটি ফিশিংবোট আমাদের উদ্ধার করেছে।
বোটের মালিক আবদুর রহিম বলেন, আল্লাহর রহমতে ১২ জনকেই জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন উপকূলে ফিরে এলেও নুরউদ্দিন নামের একজন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপকূলের একটি ফিশিং বোটে রয়েছে বলে মুঠোফোনে জানিয়েছে। তবে উদ্ধারকৃত জেলেরা সবাই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের চারজনকে আনোয়ারা হাসপাতালে এবং অপরদের অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহম্মেদ বলেন, উদ্ধার জেলেদের মধ্যে দুজন এখনো হাতিয়া উপজেলায় রয়েছে, বাকিদের মধ্যে চারজনকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার পশ্চিমে বৈরী আবহাওয়ায় আনোয়ারার ৩টি বোট ডুবে যায়। এ সময় দুটি বোটের ২৮ জন মাঝিমাল্লা অপর একটি বোটে রক্ষা পেলেও এফবি আলী শাহ নামের একটি বোটের ১২ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হয়।
মন্তব্য করুন