পাহাড়ি ধসে চাপা পড়া মাইক্রোবাসের ড্রাইভার বেঁচে ফিরলেন অলৌকিকভাবে। টানা বৃষ্টির কারণে লালখান বাজার-টাইগার পাস এলাকায় পাহাড় ধস হয়। সেই পাহাড়ি ধসে আটকে পড়ে চলন্ত গাড়ি। আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মাইক্রোবাসটির চালক জীবন বলেন, সকালে আমি বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি নিয়ে আগ্রাবাদ যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে বিকট শব্দে পাহাড়টি ধসে পড়ে। এ সময় আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে সরে যাই।
স্থানীয়রা জানান, লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস মোড় পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ চলছে। এ কাজে কয়েক মাস আগে পাহাড় কেটে সড়ক প্রশস্ত করা হয়। রাতভর বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মাটি সরিয়ে নিলে বেলা ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মাটিচাপায় আটকে থাকা মাইক্রোবাসটিও ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি ভূমিধসের সতর্কতাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
লালখান বাজার ও টাইগার পাস লাকায় মতিঝর্ণা, বাঘঘোনা, টাঙ্কির বিভিন্ন পাহাড় রয়েছে। পাহাড় কেটে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বসতি। এলাকাটিতে বর্ষায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক কালবেলাকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা জালাল আহমেদ বলেন, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আমরা পাহাড় ধসের খবর পাই। এরপর আগ্রাবাদ থেকে দুটি টিম সেখানে যায়। পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় দ্বিমুখী ওই সড়কের লালখান বাজার থেকে টাইগার পাসগামী অংশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
মন্তব্য করুন