চট্টগ্রাম নগরীতে মধ্যরাতে মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রিয়াদ হাসান (১৫) নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে সদরঘাট মহব্বত গলি পুরাতন কাস্টম পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় পুলিশের টহল টিম জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্থানীয়দের ভাষ্য, এলাকায় মাদক ব্যবসা বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ কিশোর রিয়াদ হাসানের পিঠ থেকে গুলি বের করা হয়েছে। বর্তমানে সে ক্যাজুয়েলিটি বিভাগে চিকিৎসাধীন। আহত বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
এরা হলেন— নুরুদ্দিন (২৪), আরমান (২৫), সাইফুল (২০)।
সশস্ত্র হামলার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সদরঘাট এলাকায় মাদক কারবারি হিসেবে জাহাঙ্গীর মাঝি ছিলেন। তিনি এককভাবে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সেনাবাহিনী তাকে বিপুল ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। হঠাৎ গতকাল মধ্যরাতে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।
সদরঘাট থানা সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর মাঝি পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। এলাকায় সে মাদক ব্যবসা চালাত। পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টাস্কফোর্স-৪ (৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) এর অধীনে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর মাঝির ভাই নাইক্যা আলম পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম কালবেলাকে জানান, গতকাল মধ্যরাতে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়নের পাশাপাশি টহলটিম জোরদার করা হয়েছে। আমরা নাইক্যা আলম, সিলেটি জাকির ও ইকবালের ঘটনাস্থলে উপস্থিতির তথ্য পেয়েছি। ধারণা করছি হামলাকারীরা আনোয়ারা উপজেলার।
এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে আসেনি। এলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশের যে কার্যক্রম তা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন