

নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বুধবার (১২ নভেম্বর) গভীর রাত থেকেই দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগরের প্রতিটি থানাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজিবি আগ্রাবাদ, পাঁচলাইশ, জিইসি, কোতোয়ালী, কাজির ডিউরি, চাঁদগাঁও ও বন্দর এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম কালবেলাকে বলেন, নগরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হচ্ছে। আমরা চাই, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।
এদিকে বন্দর থানা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাহাত ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আফতাব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের সতর্কতার কারণে তিনি কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারেননি এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার রাত ১০টার পর থেকে কোতোয়ালি, চাঁদগাঁও, বাকলিয়া ও হালিশহর এলাকায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি দেখা গেছে।
কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোনামানিক কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সজাগ আছি। জনগণের রায় রাস্তায় প্রতিফলিত হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরের প্রতিটি থানায়, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন