দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৬ দিন পরে ভোট গণনায় অভিযোগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ। এ সময় তিনি অভিযোগ করেছেন, তারা জনপ্রিয়তা ম্লান করার জন্য ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তার ফল বদলে দিয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফরিদ মাহমুদ এ অভিযোগ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। তিনি লালখান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, নগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সর্বশেষ নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে আমার প্রাপ্ত ভোটের ফল দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৩৮টি। অথচ নির্বাচন চলাকালে নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার ৩ হাজার ৫০০ কর্মী আমার নির্বাচনী কাজ করেছে। তারা ছাড়াও তাদের পরিবারের ভোটগুলো তো নিশ্চয় গায়েব হয়ে যায়নি!
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ভোটারদের সমর্থন ও রায় পাব এমন একটা আস্থা ছিল আমার। ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন একজন প্রার্থী যে কৌশল অবলম্বন করেছেন, এতে করে সাধারণ ভোটাররা ছিল দ্বিধা ও সংশয়ে। সেদিন নিরাপদে ভোট দিতে পেরেছেন কিনা সেটা তারাই বলতে পারবেন। যারা আমাকে রাজনৈতিকভাবে দূরে রাখতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ করে আমি এই আসনের সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করে যাব।
মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদের নির্বাচনী এজেন্ট পলাশ খাস্তগীর, সমর্থনকারী জাকির হোসেন রিপন, নগর যুবলীগ সাবেক নেতা নেছার আহমেদ, শেখ নাছির আহমেদ, আশরাফুল গনি, শওকত হোসেন, ফিরোজ আলম সবুজ, আশরাফুল আলম টিটু, দেলোয়ার হোসেন দেলু, রাশেদ চৌধুরী, নাজমুল হাসান রুমি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন