সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংকের মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশন থেকে পাঠানো সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মো. মনিরুজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে কথিত টাকার সংকট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির নাম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যমূলক, অপ্রত্যাশিত, অসত্য ও বাস্তবতাবিবর্জিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা ব্যাংকিং সেক্টরের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস। বিরাজমান সমস্যা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সেক্টর যখন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে তখন এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ ব্যাংকিং সেক্টরসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার গভীর চক্রান্ত। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং দেশের অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করার কূটকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এ ধরনের নীতিবর্জিত সংবাদ ছাপানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরও বলা হয়, আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। আমাদের সব কার্যক্রম ও লেনদেন নিয়মিত, স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স প্রভৃতি সূচকে ইতিবাচক ধারায় আছে। এ পর্যন্ত আমাদের কোনো শাখা, উপশাখা বা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের কোনো গ্রাহক ব্যাংকের কোনো শাখায়, উপশাখায় কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে টাকা উত্তোলন করতে এসে কিংবা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ফেরত এসেছেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে আমাদের আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। তা ছাড়া ব্যাংকের তারল্যসূচকসমূহ যেমন, ঋণ আমানত অনুপাত, এল সি আর, এন এস এফ আর, লিভারেজ অনুপাত প্রভৃতি গত তিন প্রান্তিকে উন্নতি ঘটেছে।
এসব সম্ভব হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির কারণে। গত এক বছরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য জনবান্ধব বেশকিছু আমানত প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যা ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ছাড়া আমাদের ওপর আস্থার কারণে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালে অধিকসংখ্যক নতুন গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ফলে প্রতিনিয়ত ব্যাংকের আমানত বেড়ে চলেছে।
ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে আরও বলা হয়, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে আনতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবারও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আমাদের ব্যাংক ২০২৩ সালে ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের ওপরে রেমিট্যান্স আহরণে সক্ষম হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪০০ ভাগ এবং যা ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ। এটি অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশিসহ গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
প্রতিবাদলিপিতে ব্যাংকটি জানায়, কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বস্ত করতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সব গ্রাহকের আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তাই ব্যাংকের সব সম্মানিত গ্রাহক ও শুভাকাঙ্ক্ষীকে এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন