গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাঙ্গাইলে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা

আতাই নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা। ছবি : কালবেলা
আতাই নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলে ঝিনাই নদীর শাখা প্রবল আতাই নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় বর্তমানে মরাতাই নামে ডাকা হয়। বাঁধ দিয়ে মরাতাইয়ের উৎস মুখে, গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম জালিয়াবাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ নির্মাণাধীন থাকায় ব্যাপক ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

ভাটিতে ২০০ হেক্টরের বেশি জমিতে আমন ধান চাষ, বীজতলা তৈরিতে কৃষকের ভোগান্তি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি প্রবাহের উৎসমুখে বাঁধের কারণে বাইশকাইল, হাজীপুর, বনমালী, চতিলা, নবগ্রাম ও জোতবাগল, চাঁনপুর ও নগদা শিমলা কইচা বিলে বন্যার পানি ঢুকতে পারছে না। বন্যার পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছে পাট চাষিরা। নিচু স্থানে জমে থাকা হাঁটু পর্যন্ত কম বৃষ্টির পানিতে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এতে চাষকৃত পাট ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বাইশকাইল আটাপাড়া গ্রামের পাট চাষি বাদশা মিয়া বলেন, এবার পাট কেটে বিপদে পড়েছি। কয়েকদিন আগে পাট কেটেছি বন্যার পানির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। মরাতাইয়ের মুখে বাঁধ দেয়ায় পানি আসলো না। এখন বাধ্য হয়ে বৃষ্টির সামান্য পানিতে পাট জাগ দিতাছি, নাহলে পাট নষ্ট হয়ে যাবে। একই অভিযোগ করেন চতিলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও শুক্কুর আলী।

হাজীপুর গ্রামের শেখ সোলায়মান বলেন, বন্যার পানি যেমন মাটিকে উর্বর করে, তেমনি অনেক মাছ পাওয়া যায়। নবগ্রাম বাঁধের কারণে বন্যার পানি ঢুকতে না পারায় সরাসরি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাছ তো দূরের কথা এখন মেশিন বসিয়ে ধান চাষ করতে হবে এবং জালা (ধানের চারা) বোনাও যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, আপনারা জানানোর পর ব্লক সুপারভাইজারের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ব্রিজ নির্মাণের ওই বাঁধের কারণে নবগ্রাম ও নগদা শিমলা ইউনিয়নের ২০০ হেক্টরের বেশি জমির চাষাবাদ ব্যাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করবো।

ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মোজাহার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জনি মিয়া কৃষকের ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শিগগিরই সেখানে বেইলি ব্রিজ বানিয়ে বাঁধটি কেটে দিবো। রাস্তাটি ২০১ গম্বুজ মসজিদের কারণে রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইউএনওর অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন পেলে দ্রুত বেইলি ব্রিজ বানাবো।

জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কাজের ধীরগতির কথা জানান ঠিকাদার।

ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তারপর জানানো হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আফগানিস্তানজুড়ে যে কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

ট্রেন ছাড়তে দেরি, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি

রাজধানীতে আ.লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

পাহাড়ের অবস্থা এখন শান্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর সময় জানা গেল

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় বিশ্ব হার্ট ডে উদ্‌যাপন

হান্নান মাসুদের মুচলেকায় মুক্ত সমন্বয়ক রাব্বিসহ চারজন চাঁদাবাজি মামলায় রিমান্ডে 

আবেগ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ড চালানো উচিত না : আসিফ মাহমুদ

স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

১০

মৃত স্বামীর সম্পত্তি পেতে দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলা, তদন্তের নির্দেশ 

১১

পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ১০, অভিযোগ ভারতের দিকে

১২

দিনদুপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৩

শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৯ জনের সাক্ষ্য

১৪

উপকূলে সুপেয় পানি প্রকল্প উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

১৫

পূজামণ্ডপে চালের বদলে টাকা, সিন্ডিকেটের কবলে বরাদ্দ

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৫৬

১৭

দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের সম্প্রীতির বার্তা

১৮

সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আমি রিজেক্ট করেছি, উপহার ফেরত দিয়েছি : মেঘনা 

১৯

আ.লীগ ছাড়লেন ৫ নেতা

২০
X