শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
লিবিয়ায় বাংলাদেশির আকুতি

‘সুমন ভাই আপনি আমাদের বাঁচান’

মো. রবিউল ইসলাম (বাঁয়ে), ব্যারিস্টার সুমন (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত
মো. রবিউল ইসলাম (বাঁয়ে), ব্যারিস্টার সুমন (ডানে)। ছবি : সংগৃহীত

‘বাবা আমি রবিউল, আমি ত্রিপুলি মাতার জেলে আছি। আমার সাথে আরো ৬০ জন বাংলাদেশি। সবাই অনেক কষ্টে আছি। এখানে বেশিদিন থাকলে এমনি মরে যাব। এখান থেকে আমাদের দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করো। এখান থেকে আমাদের দেশে নিয়ে যেতে পারবে চুনারুঘাটের এমপি ব্যারিস্টার সুমন ভাই।’ এরকম লেখা একটি চিরকুট বাবাকে পাঠিয়েছেন লিবিয়ায় বন্দি থাকা মো. রবিউল ইসলাম (২৩)। সে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কারিকোনা গ্রামের মো. সিরাজুল হকের ছেলে।

রবিউলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিউল ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই বিমান যোগে দুবাই যান। সেখানে লিবিয়ার অধিবাসী জনৈক আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হলে গত ১৫ আগস্ট আব্দুর রহমান উন্নত চাকরির আশ্বাস দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যান। লিবিয়ায় ৬মাস চাকরিও করেছেন রবিউল। সেখান থেকে ইউরোপে যেতে চাইলে বাংলাদেশি আহসান খান নামের এক দালালের হাতে রবিউলকে তুলে দেন আব্দুর রহমান। আহসান রবিউলের কাছে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেন। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। এ খবর দেশে আসলে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য রবিউলের মা নাছিমা বেগম প্রথমে ২লাখ টাকা প্রেরণ করেন। এ টাকা পেয়ে আহসান সন্তুষ্ট না হয়ে রবিউলকে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেন।

গত ১২জুন লিবিয়ার বেলকাজি হতে রবিউলসহ ৬০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি মাতার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে চরম নির্যাতনের শিকার হয় রবিউল। দেড় মাস আগে রবিউল +২১৮৯৩০৭৪৭৪৬৩ নাম্বার থেকে তার মায়ের ইমু নাম্বারে একটি চিরকুটের ছবি তুলে পাঠান। এরপর রবিউলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের।

ছেলের জীবন বাঁচাতে মা বাংলাদেশ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের নিকট লিবিয়ার জেল থেকে মুক্ত করতে আবেদন করেন। ড. মোমেন বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাবরে প্রেরণ করেন। গত ৪ জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আটক রবিউলকে ফেরত আনতে লিবিয়া দূতাবাসে চিঠি পাঠান।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে রবিউলের মা নাছিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলেকে লিবিয়ার জেল থেকে উদ্ধারে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সাহেবের সহায়তা কামনা করছি। জেলে আটককৃতদের জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার না করলে তাদের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে।

এদিকে, রবিউল এর আগেও টুকরো টুকরো কাগজে আরও চারটি চিরকুট পাঠিয়েছেন সেখানেও ব্যারিস্টার সুমনের কথা উল্লেখ করেছে সে। তবে, ব্যারিস্টার সুমনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন রবিউলের পরিবার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির কা‌ছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

ইসকনের আলোচনায় নেতারা / বিএনপির ওপর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আস্থা রাখার আহ্বান

বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের সভাপতি মুহাম্মদ প্রিন্স ও সা. সম্পাদক রাফিউর রহমান

চট্টগ্রামে ৩ হাজার লিটার অকটেনসহ একজন আটক

চট্টগ্রামে চালু হলো থাইল্যান্ডের মেডপার্ক হাসপাতালের অফিস

একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম

রাতে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিল রোহিঙ্গা কিশোর, অতঃপর...

কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর

এ-লেভেল শেষ করেই এ-লেভেলের পাঠ্যবই লিখলেন সালাহউদ্দিন-পুত্র

ফিরছিলেন হজ শেষে, বিমানবন্দরে আ.লীগ নেতা আটক

১০

ইরানের দূতাবাসে ‘নেতানিয়াহুর অপরাধের’ নিন্দা জানালেন ইহুদিরা

১১

তেলবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ৩, আহত ৪

১২

স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

১৩

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম আলোচনায় বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র

১৪

জুলাইয়ে আহত সাংবাদিকদের খোঁজ নেয়নি কেউই!

১৫

৫ দিনের আলটিমেটাম ট্রাম্পের, শুল্কারোপ নিয়ে নতুন বার্তা

১৬

দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তানজিদের

১৭

মুরাদনগরে তিন খুন / মানুষ না থাকায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে খোঁড়া হয়েছে কবর

১৮

তরুণদের ‘ভরসা’ দিতে বললেন জয়সুরিয়া

১৯

দায়মুক্ত হয়েছে জামায়াত : এটিএম আজহার

২০
X